পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনে-শুনে বিরক্ত হয়ে বললুম, রোগী দেখতে হয় তো চলুন। গোবছি বললেন ‘আপনার পেট ভরেছে তো ? আর যদি মিষ্টি চান তা— আমি তখন বুঝলুম মিষ্টি কথা দিয়েই পরীরা কেউ অতিথি এলে তার পেট ভরায় । তারপর গোবদ্যি কালিঘাটের পাশে আলিপুরের গোখানায় আমাকে এনে একটা দুধরাজের গাছ দেখিয়ে বললেন, ‘এইটি আগে ছাতুবাবুর মাঠে ছিল । সেখানে এটি অজস্র দুধ দিচ্ছিল। গরমের দিনে ন চাইতেই অত দুধ দিয়ে, পাছে গাইটি মারা পড়ে, তাই দয়া করে আমরা এটিকে গড়ের মাঠে এই চমৎকার পিজরাপোলে এনে রেখেছি। প্রথম প্রথম, দিন নেই রাত নেই, দুয়েও এর দুধ আমরা শেষ করতে পারিনি, কিন্তু আজকাল ফোট কতকের বেশি আর দুধ দিচ্ছে না।’ দুধরাজ গাছকে এরা গাই বলে শুনে আমার হাসি পাচ্ছিল কিন্তু তবু গম্ভীর হয়ে বললুম, কতদিন ধরে এমনটা হয়েছে ? গোবদ্যি বললেন, ‘এই শীতটা পড়ে অবধি । আমি অমনি বললুম, ঠাণ্ডায় দুধ সব জমে আইসক্রীম হয়ে যাচ্চে না তো ? গোবদ্যি বলে উঠলেন, ‘আঙ্গে না । ওর বাটে আমরা গুলের আগুন বসিয়ে দেখেছি, তাতেও কিছু হয় না।’ আমি ভেবে কিছুই ঠিক করতে পারলুম না, মনে-মনে বললুম, পুতু ! এইবার তোমার কথা ফুরলো। গাই যদি দুধ না দেয়, তবে কালিঘাটের হাড়কাঠে ছেড্যাং করে দেবে তোমার মাথাটি।’ যেমন এই কথা মনে হওয়া অমনি আপনিই সেই ছড়াটা মনে পড়ল, ‘কেনরে গরু খাস না ? গরুটা অমনি বলে উঠল, “রাখাল কেন চরায় না ? আমি কথার উত্তর পেয়েছি দেখে বুঝলুম, দুধরাজ গাছটা এখনো মরেনি একেবারে। আমি আবার শুধোলুম, কেন রাখাল চরায় না ? উত্তর হল, ‘বেী আর ভাত দেয় না। আমি এতক্ষণে বুঝলুম কেন দুধ দিচ্ছে না গরু। সব ছধ রাখাল খাচ্ছে, ভাত না পেয়ে। আমি গোবদিকে বললুম, রাখালের বেীকে রোজ ృd a