পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেলা ছানা, খানিক কাশীর চিনি, আর এক হাতে জলের ঘটি নিয়ে এসে বললেন, ‘ডাকলে কেন ? খাতাঞ্চিমশায় তাক চিবোতে-চিবোতে বললেন, চকোক্তিদের ওখানে আজ উড়ে-যাত্র হবে, শিগগির আমার চাদরখানা সোনাতোনকে চট্‌ করে কুঁচিয়ে দিতে বলে। . সোনার মা বললেন, ‘সোনাতোন যে আজ ক'দিন হল দেশেগেছে।', খাতাঞ্চিমশায় বলে উঠলেন, বড়ে তো মুশকিল! দাও চাদরখানা আমি কুঁচিয়ে নিচ্ছি। খাতাঞ্চিমশায় চাদর কোচাতে বসলেন। সোনার মা বললেন, “আমিও যাত্রায় যাব ? খাতাঞ্চি বলে উঠলেন, ‘তুমি আমি সবাই যাব তে ছেলেদেব দেখে কে, সোনাতোন নেই ? সোনার মা বললেন, ‘বোহিম দেখবে এখন ' বোহিমের নাম শুনেই খাতাঞ্চি চটেছিলেন, বললেন, ‘বটে ! আমার লণ্ঠন বইবে কে ? আমি কি অন্ধকারে পড়ে মরব ? আমি এখনি যাচ্ছি, বোহিমকে লণ্ঠন নিয়ে পরে পাঠিয়ে দিও।' সোনার মা বললেন, ‘বা । তুমি তো ঢ়েব যাত্র দেখেছ । তুমি ঘরে থাক না, আমি যাই । খাতাঞ্চি আপত্তি করলেন, তিনি না গেলে চক্কোত্তিমশায় ভারি দুঃখিত হবেন। আর হয়তো দেখবার শোনবার লোক অভাবে আসরই মাটি হবে । উড়ে-যাত্রা সোনার মা কখনো দেখেননি, তিনি ঝগড়া করে চক্কোক্তিদের বাড়ি চলে গেলেন সন্ধে হতেই চুপি-চুপি । সোনার মা যাত্রা দেখতে গেলেন বটে কিন্তু রাগ করে কাউকে না বলে ছেলেমেয়েদের একলা রেখে এসেছেন, মনটি তার বাড়িতেই পড়ে রইল । চক্কোক্তিদের বাড়ি যেতে চক্কোনী তাকে বললেন, ‘ও সোনার মা, তোর চোখ লাল কেন ? কেঁদেছিস বুঝি ? সোনার মা'র আরো কান্না পেল, আঁচলে চোখ মুছে বললেন, ‘না পিসিম, চোখ উঠবে বোধহয় । $(११