পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘একটু মনসার কাজল দিস, বলে পিসিমা মুখে সর ঘষতে-ঘষতে পুকুরঘাটে গেলেন। চকোক্তির বড়োবোঁ সোনার মা’র হাত ধরে ঘরে বসালে । ওঁদিকে উঠোনে যাত্রাওয়ালারা ঢোলে চাটি দিলে, নাগ ধূম নাগ ধূম। খাতাঞ্চিমশায় গলা চিরে একবার ডাক দিলেন, বলি ও হরিকিষ্ট, গিরিনরুমে একটা মোমবাতি।’ সোনার মায়ের বুকটা ধড়াস করে উঠল। তবে তো তিনিও এসেছেন। বাড়িতে কেউ নেই, যদি চোর ঢোকে ! যদি ছেলেধরা— যাত্রার অধিকারী গান ধরলে, ‘নীলরতন, কিবা নবঘন, নীল নবদল হারে। বে ওলাওয়ালা ছড়ি টানলে, ‘সাস নিনি ধাপ গাগা ধাধা মামা মাগাগা মারে সানি ? সোনার মা ঘুলঘুলিতে বসেই দেখতে পেলেন খাতাঞ্চিমশায় গলায় চাদর ঝুলিয়ে আসরে বসে ডাবা হুকো টানছেন, আর র্তার টাক বাতির আলোয় চকচক করছে, যেন সাটিনের টুপি । সোনার মণ খুজিলেন, বোহিম কুকুরটাও এসেছে কিনা। বোহিম নেই দেখে তিনি অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়ে যাত্রা শুনতে গুছিয়ে বসলেন । খাতাঞ্চিমশায় ওদিকে বাড়িতে যে কী কাণ্ড করে এসেছেন তা তে। সোনার মা জানেন না । • খাতাঞ্চিমশায় চাদর কুঁচিয়ে কাধে ফেলে ঘরের মধ্যে আফিমের কোটে চাইতে এসে সোনার কাছে শুনলেন, ম চাবি নিয়ে চলে গেছেন। খাতাঞ্চি বসে পড়লেন। তিনি সোনাকে শুধালেন, ম৷ তাদের দুধ খাইয়ে গেছেন, না এসে খাওয়াবেন ? তখনো খাতাঞ্চির আশা ছিল, হয়তো ইনি পাড়া বেড়াতে গেছেন এখনি আসবেন। কিন্তু সোনা বললে, ‘মা ওইখানে দুধ ঢাকা দিয়ে গেছেন, বললেন বাবার কাছে খেয়ে নিস।” খাতাঞ্চি বললেন, তবে দুধ খেয়ে নে, আমি এখনি চক্কোত্তির বাড়ি গিয়ে তোর মাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। Ꮌ©br