পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুধের পোলো খুলে সোনা দেখলে তুধের বাটির পাশে চাবি কাঠিটি রয়েছে। চাবি পেয়ে খাতাঞ্চি তাড়াতাড়ি দেরাজ খুলে আফিমের কোঁটাে নিয়ে টেকে গুজলেন আর দেরাজটা বন্ধ করে দিতে ভুলে গেলেন। আফিমের কোটোটা পেয়ে খাতাঞ্চিমশায়ের মেজাজ ঠাণ্ড হয়েছিল। তিনি সোনার পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন, লক্ষ্মী সেন, ছেলেদের দুধ খাইয়ে, ঘুম পাড়াও। সোনা গিন্নীপনা করতে পেয়ে ভারি’খুশি । গম্ভীর হয়ে বললে, ‘বাবা, পাঙটির যে এখনো পাচন খাওয়া হয়নি।’ খাতাঞ্চি ভাবছিলেন, পাচন আজ থাক কিন্তু এই সময় পাণ্ডুটি বলে উঠল, 'না আমি খাব না।’ যেমন খাব না বলা, অমনি খাতাঞ্চি তাকের উপর থেকে ভাড় নিয়ে সোনাকে বললেন, ‘দে খাইয়ে।’ সোন গিন্নীপনা করে বললে, ‘আজ না হয় নাই খেলে |’ খাতাঞ্চি ধমকে খুললেন, ‘ফের আদির দেওয়া ! আমন বয়সে কত পাচন খেয়েছি, কোনোদিন না করিনি, উণ্টে বরং যে কবিরাজ পাচন দিত তাকে আশীৰ্বাদ করেছি।’ খাতাঞ্চি পষ্ট মিছে কথা বললেন, কিন্তু একবার ও র্তার মনে হল না যে সেটা মিছে কথা বরং ভাবলেন সত্যিই বলছি । সোনাও তাই বিশ্বাস করলে, সে ঘাড় নেড়ে বললে, ‘বাবা তুমি এখন যে কুইনান দেওয়া ওষুধটা খাও, সেট। পাচনের চেয়ে তেতো, নয় ? খাতাঞ্চি পাণ্ডটির দিকে চেয়ে বললেন, ‘তেতো লৈ তেতো ! শিশিট যে হারিয়ে ফেলেছি, না হলে দেখতিস এখনি ঢক করে তোর সামনে একদাগ খেয়ে ফেলতুম, একটু ও মুখ না সিটিকে।’ শিশিট হারায়নি, সোনার মা সেট। তক্তার নিচে শিশিবিক্রিওলার জন্তে রেখেছিলেন, আঙটি জানত। সে আস্তে আস্তে শিশিটা বুরি করে বললে, “এই নাও, এক দাগ আছে।’ খাতাঞ্চির মুখ শুকিয়ে গেল। তিনি মুখ বেঁকিয়ে বললেন, যে তেতো ডাক্তারটা দিয়েছে। (tఫి