পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনা বললে, “বাবা, ঢক করে গলায় ঢেলে দাও না, কিছু হবে, না ? খাতাঞ্চি খানিক ভেবে বললেন, ‘আগে ও পাচন খাক । পাণ্ডটি বলে উঠল, দুজনেই একসঙ্গে খাও বাবা । খাতাঞ্চি বললেন, "আচ্ছা তুই এক দুই গোন। সোনা গুনতে থাকল, এক হই তিন, পাণ্ডটি ঢক করে পাচন গিলে ফেলল। খাতাঞ্চিমশায় শিশিটা ফস করে চাদরে লুকিয়ে ফেললেন। পাঙটি প্যা করে কেঁদে উঠল। সোনা তাকে ভোলাতে লাগল আর বলতে লাগল, কেন কাদালে বাবা ? ও আর দুধ খেতে চাইবে না, ঘুমোবেও না।’ খাতাঞ্চি বিপদে পড়লেন। তাড়াতাড়ি বললেন, “আমি তো খাচ্ছিলুম, হাতটা ফসকে গেল। আচ্ছা দেখ মজা করছি। খাতাঞ্চি মাটিতে ওষুধটা ঢেলে দিয়ে ডাকলেন, ‘বোহিম আয় দুধ খাবি।’ বোহিম লেজ নেড়ে ওষুধটা চেটেই মাটিতে মুখ ঘষতে লাগল। সোনা তার চোখটা দেখলে, যেন বলছে, “আমি আর তোমাদের বিশ্বাস করব না।’ সোনা শুকনো মুখে বললে, ‘ছি বাব! তুমি ভারি লোককে ঠকণও ’ খাতাঞ্চি বললেন, 'আরে তামাশা করলুম বুঝলিনে ? সোনা বোহিমের গলা জড়িয়ে বলতে লাগল, “কঁাদিসনে বোহিম । আমি তোকে আমার বাটি থেকে দুধ দেব।’ পাণ্ডুটি বললে, বাবা ভারি দুষ্টু। খাতাঞ্চির ভারি রাগ হল, তিনি কুকুরটাকে এক লাথি দিয়ে বললেন, ‘দূর তোর কুকুর । ওর আবার আদর দেখ! বোহিম র্কাদতে-কঁদিতে বাড়ির বাইরে চলে গেল। খাতাঞ্চি রেগে সদর দরজাট ধমাস করে খুলে চক্কোত্তির বাড়ি চলে গেলেন । চকোক্তিদের বাড়ি বেশি দূরে ছিল না, কিন্তু মাঝপথে খাতাঞ্চির মেজাজটা ঠাণ্ড করে দেবার জন্যেই যেন এক পশলা বিষ্টি রাস্তা কেবল কাদা করে দিয়ে গেল। খাতাঞ্চিমশায় চটি জুতো হাতে ჯ©თ