পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারমোনিয়ার সঙ্গে সখীরা গাইলে, “এল কিষ্ট এল ওই বাজল বঁাশরী।’ কেষ্টর হাতে নাল কাটির বঁাশি তো বাজল না। বেহালা তাই বাজতে লাগল, “কানে কানে একবার বল তারে, যেন সে ছড়ি ধরে দ্বারী হয়ে থাকে প্রবাসে, কেন বাজাতে আসে, ও কেন বা আসে ? হঠাৎ বেহালার তারপটং করে ছিড়ে গেল অমনি সোনা দেখলে, কিচ করে জানলাটা ফাক হতে-হতে সবটা খুলে গেল, হুয়া-হুয়া বলে শেয়াল ডাক দিলে আর পুতু খোলা জানলা দিয়ে ঝুপ করে ঘরের মধ্যে লাফিয়ে পড়ে বললে, ”কী দেখছ ? সোনা চুপি-চুপি বললে, “যাত্রা শুনছি।’ পুতু বললে, এখানে কী দেখবে ? গিরিনরুমে চলে দেখবে সেখানে কত ভালো-ভালো সঙ আর কত মজা ।” সোনা বললে, ‘গিরিনরুমে ঢুকতে দেবে কেন ? আমাদের তো টিকিট নেই।’ পুতু বললে, আমার পাশ আছে, আর আমাকে তার চেনে, কিছু বলবে না।’ সোনা পাশ দেখতে চাইলে । পুতুর সবুজ বইখানার মধ্যে পাশ ছিল, বুকের পকেটে বইখানা খজতে গিয়ে পুতু দেখে কোথায় সেখানা পড়ে গেছে। সে চারদিকে খুজতে লাগল। সোনা বললে, ‘की भूछह ? পুতু কাদো-কাদে হয়ে বললে, “আমার পকেট বইট। সোনার মুখ শুকিয়ে গেল, বুঝিবা আর গিরিনরুমে যাওয়া হল না । পুতু খানিক ভেবে বললে, ‘নিশ্চয় সেদিন যখন কুকুরটা তেড়ে এল তখন এই ঘরে পড়েছে।’ সোনা বললে, তবে হয়তো মা সেটা কুড়িয়ে তুলে রেখেছেন । চলে তো খুজি । খাতাঞ্চি যাবার সময়দেরাজে চাবি দিতে ভুলেছিলেন, পুতু তাড়াতাড়ি সেটার মধ্যে ঢুকে খুজতে আরম্ভ করলে। দেরাজের মধ্যে ১৬২