পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঙটি একজন হতভাগা লক্ষ্মীছাড়া মায়ে-তাড়ানো বাপেখেদানে ছেলে থেকে শেষে গাজনের সন্নেসী হবে । তাই তার মাথায় বিধাতা অর্ধচন্দ্র লিখেছিলেন। সে বলে উঠল, ফেরবার কী দরকার ? সোজা চাদের মধ্যে গিয়ে বোম মহাদেব হয়ে বসে থাক।” সোনা একজন পাকা গিল্পী হবে, বিধাতা তার কপালে হেঁসেল, হাতা, বেড়ি, বঁটি, টেকি, এককড়া দুধ-আর বাজার খরচের ধারা: পাত লিখেছিলেন, সে বললে, “যাবে তো চাদে, খাবে কী সেখানে ? সেই সময় একটা চলতি বাতাস হুস করে ঘরে ঢুকে তাদের ক’জনকে উড়িয়ে নিয়ে চলল আর বেরিয়েই একটা মেঘে পাণ্ডটি এমনি ধাক্কা খেলে, যে মনে হল যেন কে তার মাথায় এক থাবড়া বসিয়ে দিলে। সকলে মেঘের উপরে একটু জিরোতে বসল। এই সময় সোনার গল্প বলবার কথা ছিল কিন্তু পুতু নিজেই গল্প শুরু করে দিলে, জম্বুদ্বীপে কাক বকের সঙ্গে কী হয়েছিল, বাবুইবাসার নেীকে কোথায় গেল, শ্বেতদ্বীপে পরীরা কী বর দিলে ইত্যাদি । পুতুর মায়ের কথা যখন সে বলছিল তখন সোনার ভয় হল ;.সে বললে, “আমরাও ফিরে এসে যদি দেখি আমাদেরও জানলা বন্ধ হয়ে গেছে, তা হলে কী হবে ? আঙটি পাঙটি দুজনেরই মন ভারি খারাপ হতে আরম্ভ হল, আর অমনি তারা পড়তে আরম্ভ করলে মাটির দিকে ; সোনা দেখে ভারি ভয় পেলে, সেও সঙ্গে-সঙ্গে পড়তে থাকল। পুতু সাবধান করে দিলে, অত মন ভারি করলে তো চলবে না, মন হালকা কর । কিন্তু মন কেমন করে হালকা হয়, সোনা আঙটি পাঙটি তা জানে না। আঙুটি গায়ের জামাটা খুলে ফেলে দিলে, পাণ্ডুটির গলায় একটা ঢোলের মতো মাছলি বুলছিল সে সেটা ছিড়ে ফেললে, সোনা তার পায়ের মল গাছ বেড়ে ফেলে, কিন্তু তাতে কোনো ফল হল না । তিনজনে চুপসোনো মানুষবেলুনের মতে হাত পা লটপট করতেকরতে চকোভিদের যাত্রার আসরের ঠিক ধারটিতে নেমে পড়ল। ঠিক সেই সময় ছগগাঠাকুরের শাদা সিংহীর মতে কাকড়া জটা Net