পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যারে রাখ পায় সে কী না পায় ষারে না রাখ পায় বিপদ ঘটাও পায় পায়।’ টিয়ে পাখি থেকে টিকটিকি পর্যন্ত আহ আহ করতে লাগল। পুতু লাল রুমালে চোখ মুছে বললেন, ‘আহে শুক, বিধাতার দোষ দাও কেন সকলি আমার অদৃষ্টের ফের। না হলে যে স্বর্ণসীতাকে নিয়ে এই দণ্ডকারণ্যে স্বৰ্গতুল্য বলে জ্ঞান করেছিলুম, কেন তিনি আজ আমাকে অকুল শোকসাগরে ভাসিয়ে ইন্দ্রজিতের রাক্ষসী মায়ায় মূৰ্ছিতা হয়ে একটিও কথা কইছেন না ? হায় আমি কী করি, কোথায় যাই ? অমনি নমু ননরু হনুমান আর বিভীষণ হয়ে বললে, হনু থাকতে কিসের ভাবনা ! প্রভু অনুমতি করুন আমি এখনি বিশল্যকরণী এনে আমার মাকে বাঁচাই। বলুন তিনি কোথায় ? বিভীষণ অমনি এগিয়ে এসে বললেন, সখে, কিসের ভাবনা ? বিভীষণ থাকতে কিসের ভাবনা ? বলে। সে কোন মায়াবী, আমি এখনি তার শিরশেছদ করে তোমার সখে নাম সার্থক করি।” পুতু বললেন, সখে, আমার স্বর্ণলতা এই মোর অরণ্যে এসে মূৰ্ছিতা হয়েছেন ; তোমরা তাকে এনে দিয়ে আমার তাপিত প্রাণ শীতল করে। ’ - হমু বললে, কী ! মা আমার ধুলায় গড়াগড়ি যাচ্ছেন? খুড়েমশায় আর বিলম্ব করবেন না ; আপনার নিশাচরগণকে নিয়ে তথায় অগ্রসর হন আমি আমার তালগাছের মুগুরটা নিয়ে এখনি এলেম বলে ? পুতু বললেন, ‘দেখো বাপু হয়, মুগুর নিয়ে আর নিশাচর নিয়ে হঠাৎ উপস্থিত হলে বিদেহ রাজ নন্দিনী ভীত হবেন; বুঝে সুঝে কাজ করো বাপু হায় ভাই লক্ষ্মণ যদি শক্তিশেলে না পড়তেন তবে আজু কি সেই ঘরাত্মা মায়াবী স্বর্ণসীতার একটি কেশ স্পর্শকরতে পারত ? বিভীষণ অমনি পুতুর গলা জড়িয়ে রোদন করে বললেন, সখে, রোদন কোরো না ; তোমার অঙ্কবারি দেখলে আমি মরমে মরে যাই । »ፃ•