পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখ বুজে, খুলে, নিজের গায়ে চিমটি কেটে যখন সে বুঝলে সব সত্যি—একটুও স্বপ্ন নয়, তখন রিদয় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে ভাবতে লাগল –কী করা যায় এখন ? গণেশ তো শাপ দিয়ে গেলেন —যক হয়ে থাক। কিন্তু যকৃ বলে কাকে । এই বুড়ো আঙুলটির মতো ছোটাে থাকা ? না, আরকিছু ভয়ানক হবে ? * অন্য ছেলে হলে ভয়ে-ভাবনায় একেবারে হতবুদ্ধি হয়ে বসে থাকত, কিন্তু রিদয় ছিল নির্ভয় । সে যক্ কাকে বলে কারো কাছে জানবার জন্যে এদিক-ওদিক চাইতে লাগল । ছোটাে হবার সঙ্গে রিদয়ের তুষ্টুবুদ্ধিও ছোটো হয়ে গেছে, কাজেই সে মাটিতে মাথা ঠুকে গণেশকে মনে-মনে প্রণাম করতে লাগল আর বলতে থাকল –ঠাকুর, এবারকার মতো মাফ কর। আর আমি এমন কাজ করব না। ঘাট হয়েছে। যক্ কাকে বলে বলে দাও । কিন্তু গণেশ কোনো সাড়া-শব্দ দিলেন না। গণেশের ইতুর রিদয়ের উপর ভারি চটেছিল, এতক্ষণ তার ভয়ে সে মটকা থেকে নামতে পারেনি, রিদয় ছোটো আর ভালোমানুষ হয়ে গেছে দেখে সে গোফ-ফুলিয়ে কাছে এসে বললে –‘কেমন ! যেমন কর্ম তেমনি ফল। এখন থাকোগে পাতালে যক্ হয়ে অন্ধকারে বসে ! আর আলোতেও আসতে পাবে না, বাপ-মাকেও দেখা হবে না ? বাপ-মায়ের উপর রিদয়ের বড়ো-একটা টান ছিল না, কিন্তু পাতালে চুপটি করে থাকা কিছুতেই সে পারবে না। সে ইছরকে শুধোলে –‘ভাই, যক্‌ কী রকম ? ইত্নর উত্তর করলে –‘সেকালে লোকে ছেলে-পিলে না হলে বুড়ো হয়ে মরবার সময় যক বসাত, —জোক বসানোনয়, যক বসানো! আগে সব বাড়িতে একটা করে চোর-কুটরি ছিল, ডাকাত পড়লে সেই ঘরে মেয়ে-ছেলেদের নিয়ে গেরস্তর গিয়ে লুকিয়ে থাকত। এই চোর-কুটরির নিচে অন্ধকার সিড়ি দিয়ে নেমে পাতালের মধ্যে একটা কুয়োর মতো অন্ধকার জায়গায় লোকে কখনো-কখনো যক brసె