পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে থাকল যে রিদয়ের কানে তালা ধরবার যোগাড় । বেচারা কোথায় পালাবে ঠিক পাচ্ছে না, এমন সময় জাস্তাকুড় থেকে ছাইপাশ মেখে ৰাঘের মতো ডোরা-টানা এক বেড়াল, চান সেরে সেইদিকে আসতে লাগল—কিও কিও’ বলতে-বলতে ! বেড়ালের সাড়া পেয়েই পাখিরা যেন কত ভালো মানুষের মতে, মাটিতে যেন পোকাই খুজছে, এই ভাবে পায়ে-পায়ে রিদয়ের কাছ থেকে সরে পড়ল । বেড়াল যষ্ঠর বাহন, ইহুরের সঙ্গে গণেশ কোথায় লুকিয়ে আছেন নিশ্চয় সে জানে, ভেবে রিদয় দৌড়ে গিয়ে বেড়ালকে গণেশের কথা শুধোলে। বেড়াল অমনি ল্যাজ ঘুরিয়ে, সামনে হুই থাবা রেখে, গম্ভীরু হয়ে বসে চোখ পিট-পিট করতে-করতে যেন রিদয়ের কথা শুনেও শুনলে না – এইভাবে পায়ের আঙুল থেকে ল্যাজের ডগাটি পর্যন্ত রোদে বসে চেটে-চেটে সাফ করতে লাগল। রিদয় একবার পাখিদের রাগিয়ে জব্দ হয়েছে ; সে বেড়ালকে খুব মিষ্টি করে আবার শুধোল –‘বল না মেনি, গণেশঠাকুর কোনদিকে গেলেন ? মেনি বললে –‘গণেশঠাকুর কাছেই এক-জায়গায় আছেন, কিন্তু তোমাকে বলছিনে বাপু ! রিদয় আরো নরম হয়ে বললে –-“লক্ষ্মীটি, বল, ফে থায় ? তিনি আমার কী দশা করেছেন দেখছ ? বেড়াল যেন অবাক হয়ে সবুজ চোখ-দুটো বড়ো করে রিদয়ের দিকে চাইলে ; তারপর গোফ ফুলিয়ে ফ্যাচ করে দাত-মুখ খিচিয়ে বললে –তোমায় দেখে দুঃখু হবে না ? আমার ল্যাক্তে কত কাকড় ধরিয়েছ তুমি ! তোমাকে গণেশের খবর দেব না তো দেব কাকে ? হুঃ ’ বলে বেড়াল একবার গা-ঝাড়া দিলে । রিদয় আর রাগ সামলাতে না পেরে দেখবি ল্যাজ ধরে টানি কি না’ বলে যেমন বেড়ালের দিকে এগিয়ে গেছে আমনি বেড়াল বাঘের মতে ফুলে উঠল । তার রোয়াগুলো সজারুর কাটার মতো ఫె\$ כ\ל-חוסי ,etי