পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সময় রিদয়কে গোয়ালের হয়োরে দেখে কালো গাই লাথি ষ্টুড়ে বললে –‘খবরদার। দেখেছ, এক লাথিতে মাথার খুলি ফাটিয়ে দেব ।’ 燈 ধলা বললে –‘আয় না, এইবার একবার শিং ধরে নাড়া দিবি । কপলে বললে –‘একবার বোলতা নিয়ে কাছে এস না, মজাট টের পাইয়ে দিচ্ছি ? * কালো—সে সৰ-চেয়ে বুড়ি, সব-চেয়ে জোরালো গাই, সে বললে —"বড়ো যে আমাকে ঢিল মারা হত। আবার সেদিন আমাকে জুতো ছুড়ে মারা হয়েছিল। আয়,একবার আমার খুরের ঘা খেয়ে যা! রোজ দুধ-দুইবার সময় তুধের কেঁড়ে উল্টে দিয়ে মাকে নাস্তানাবুদ করে তবে ছাড়তিস । আহ, এমন দিন নেই যে তিনি তোর জন্তে না কেঁদেছেন । আয় আজ একবার তার শোধ তুলব। বাপরে বাপ, কৗ দুই ছেলে গো! গণেশঠাকুর —তার সঙ্গে লাগা। রিদয় গরুদের সঙ্গে ভাব করে বলতে চাইছিল —যদি তারা গণেশ-ঠাকুরকে দেখিয়ে দেয়, তবে কোনোদিন আর সে কারে কাছে কোনো অপরাধ করবে না ; কিন্তু গাই তিনটে এমনি ঝাপার্কাপি আরম্ভ করলে যে রিদয়ের ভয় হল যদি দড়ি ছিড়ে এরা বেরোয়, তবে আর রক্ষে রাখবে না। সে আস্তে-আস্তে গোয়াল ছেড়ে সরে পড়ল । পশু-পাখি কেউ তাকে তো দয়া করলে না। গণেশের দেখা যদিই বা পাওয়া যায়, তবে তিনিও যে এদেরই মতো তাকে খেদিয়ে দেবেন না, তারই বা ঠিক কী! সবার কাছে তাড়া খেয়ে বেচার রিদয় বেড়ার ধারে মুখ-চুন-করে এসে বসল। এ-জন্মে আর সে মানুষ হবে, এমন আশা নেই। মা-বাপ হাট থেকে যখন এসে দেখবেন ছেলেটি যক হয়ে গেছে, তখন তাদের হঃখের আর সীমা থাকবে না। সে তো জানা কথা। কিন্তু পাড়ার লোক, এমন কী ভিক্গ থেকে ছেলে-বুড়ে সবাই বুড়ো-আংলা দেখতে দলে-দলে এসে তাকে ঘেরাও করবে। হয়তো কাগজওয়ালার তার ছবি তুলে ఏ(t