পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খোড়া হাস, হাপাচ্ছে আর চলেছে আর বকছে। বাতে বেচারার পা-টি পদু। সে অনেক কষ্টে খাল-ধারে —যেখানে গোটাকতক বক, গোটাকতক পাতিহঁাস চরছিল, সেই পর্যন্ত এসে উলুঘাসের উপরে খোড়া পা রেখে জিরোতে বসল। রিদয় কী করে ? একটা কচু-পাতার নিচে বসে আকাশের দিকে চেয়ে দেখতে লাগল—দলে দলে হাস উত্তর-মুখে উড়ে চলেছে—নানা কথা বলাবলি করতে-করতে ! রিদয় শুনলে হাসেরা বাজে বকছে না ; কাজের কথাই বলতে-বলতে পথ চলেছে । সেথো হাসেরা বললে –‘থাকে-থাকে ফুলের গন্ধ লাগছে নাকে । অমনি পাণ্ডাহঁাস যে সব আগে চলেছে, জবাব দিলে –‘ছুটলে খোসবো বাদলা রাখে ।” * সেথোরা বললে –‘নিচে-বাগে নামল তাল-চড়াই ? পাণ্ড উত্তর করলে –‘উপরে বড়োই ঠাণ্ড ভাই!’ সেথোরা বললে –‘জাল টেনে মাকড় দিল চম্পট ? পাণ্ডার জবাব হল –‘এল বলে বৃষ্টি –চলো চটপট ? সেথোরা বলে—‘ফুল সব দিল ঘোমটা টেনে ? পাণ্ড বললে –‘এল বিষ্টি এল হেনে ? ‘ছু চোয় গড়েছে মাটির ঢিপি । ‘বিষ্টি পড়বে টিপিটিপি । ‘সাগরের পাখি ডাঙায় গেল।’ ‘ঝড়-জল বুঝি এবার এল।’ “কাক যে বাসায় একলা বড়ে ? ‘গতিক খারাপ ; নেমে পড়ে, নেমে পড়ে।” অমনি সব হাস ঝুপ-ঝুপ করে খালে-বিলে নেমে পড়ে আপনারআপনার পিঠের পালকগুলো জল দিয়ে বেশ করে ভিজিয়ে নিলে, পাছে পালকগুলো শুকনে থাকলে বিষ্টির জল বেশি করে চুষে নেয়। দেখতে-দেখতে ঝড়ো-বাতাস ধুলোয়-ধুলোয় চারদিক অন্ধকার ミeペ