পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ সাদি, কালি, গুলজারি –এরা সবাই সৈটা জানবার জন্তে ধরাধরি করছে। পায়রা থেকে চড়াই এমন-কি টিকটিকি পর্যন্ত পাহাড়গুলির এ-পাড়া ও-পাড়ার ছেলেবুড়ে যে যেখানে আছে, সবাই যে লুকোনো জিনিসের কথা বলাবলি করছে, কুঁকড়ে সেই লুকোনো জিনিসের খবরটা বুকের মধ্যে নিয়ে বসে আছেন ; কিন্তু মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারেন না, অথচ না বললেও বুক যে ফেটে যায়। অতি গোপনীয় বীজমন্ত্রটি যার কানে চুপিচুপি বলে দেওয়া চলে, এমন উপযুক্ত পাত্র –সে কোথা । এ যে অতি গোপন কথা, অতি নিগূঢ় রহস্ত। মেয়েরা'তো এ কথা একটি দিন চেপে রাখতে পারবে না। বিশেষত সাদি কালি সুরকি আর খাকি এমনি সব গুলবাহারি গুলজারি, র্যাদের মুখ চলছেই, তাদের এ কথা একেবারেই বলা যেতে পারে না, শোনুবার জন্তে র্তারা যতই ইচ্ছুক থাকুক না কেন । না, বুক ফেটে যায় যাক, মনের কথা মনেই থাক, গুপ্ত মস্তর, অন্তরের ভাবনা মন থেকে দূর করে যেমন আর সবাই, তেমনি আমিই বা কেন না থাকি —দিব্যি আরামে, পাহাড়তলির রাজবাহাদুর কুঁকড়ে। এইটুকুই যথেষ্ট, আর এইটুকুতেই আমার আনন্দ, কিমধিকমিতি। মনে মনে এই তর্কবিতর্ক করতে করতে বুক ফুলিয়ে কুঁকড়ে ধানের মরাইটার চারদিকে পা-চালি করছেন, আর এক-একবার নিজের দিকে ঘাড় র্বেকিয়ে বেঁকিয়ে নিজেকে নিজে তারিফ করছেন, ক্য খপ - স্থ রতি ই-ই’। তার মাথায় মোরগফুলটা আর চোখের কোল থেকে ঝুলছে যে দাড়ি, তার মেহেদি রংটা যে বনের টিয়া থেকে আরম্ভ করে লাল তুতির লালকেও হার মানিয়েছে, এটা কুঁকড়োকে আর বুৰিয়ে দিতে কুল না। তিনি খড়ের গাদার উপরে বুক ফুলিয়ে দাড়িয়ে আকাশের পানে একবার, মাঠের দিকে একবার, তাকিয়ে দেখলেন ; সোনা আর মানিকের মাভায় জল স্থল আকাশ রাঙিয়ে সন্ধ্যাটি কী 38