পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'সের দল, সারসের দল, মাথার উপর -য়ে উড়ে যাচ্ছে -সোহাগদার, দৌলতপুর, মুনামগঞ্জ ’ যেখানে ফলফুলুরী ফসল ঢের সে সব জায়গার কুঁকড়োর হাকছে — দান্নাসিরি, লাঙ্গলবাঁধ, উলুর হাট, আমতাজুড়ি, জাঙ্গিপুর ? হাস --পদ্মনাল এমনি সব খেতে পছন্দ করে, যেখানে খালে-বিলে এসব জন্মেছে, সেখানকার কুঁকড়ে হাকছে –‘সাতুনল, নলচিটে, পাতের হাট, বেতগা, বেতাজী, সোলাভাঙা, শাকের হাট। যেখানে খাবার নেই, তার কুঁকডো হাকলে –‘ঝালকাটি, কাটিপাড়া, আশাশুন্তি, সন্ন্যাসীহাট। যেখানে ছায়া-করা বন অনেক, সেখানকার নাম হাকলে কুঁকড়ো —‘কমলাবাড়ি, ফুল-ঝুরি, ডাকেটিয়া, শিরিশদিয়া, কোকিলামুখ । যেখানে ছোটে-বড়ো নদী, ছোটে-বড়ো মাছ, কুঁকডো হাকলে –‘র্চাদপুর, ইলশেঘাট, ব্যাঙধুই, বোরালিয়া, বোয়ালগণবি ।’ রিদয় দেখলে হাসেরা সোজা যে উত্তর-মুখে চলেছে, তা নয়। তারা এ-গ্রাম সে-গ্রাম, এ-খেত ও-খেত, এ-বিল ও-বিল, করে হরিংঘাট, মেঘনা—এই দুই নদীর মাঝে যা কিছু আছে সব যেন দেখতে-দেখতে চলেছে —বাঙলাদেশের সুন্দরবন, ধানখেত, পদ্মদিঘি, বালুচর, খালবিল ছাড়তে যেন তাদের মন উঠছে না। বাখরগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, যশোহর, ফরিদপুর হয়ে ধলেশ্বরী নদী পেরিয়ে ক্রমে হাসের দল চাদপুবের দিকে চলল –পুৰ্বমুখে । হাসের মধ্যে ঘেংরাল আর সরাল দু-জাতের হাস —এর কোনোদিন কোথাও যেতেও চায় না, নড়তেও চায় না –ভারি কুনো ! বুনো হাস এদের দেখলেই তামাশা করতে ছাড়ছে না। তার উপর-আকাশ থেকে একের পর একে ডেকে চলল –‘পাহাড়তলি, কামরূপ, ধোলাগিরি, মানস-সরোবর –চলেছি, চলেছি ? অমনি সরাল, ঘেংরাল এর উত্তর দিচ্ছে—যেও না যেও না, বড়ো শীত । যেও পরে, যেও পরে।’ বুনো হাসের দল আরো নিচে নেমে এক সঙ্গে বলে উঠল— ఇది పె 8 لاسم .