পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক-নিকোবর সুবচনীর খোড়া হাস এই সব বুনে-হাসদের দলে ভিড়ে উড়তে, . আর এ-গ্রামের সে-গ্রামের সব সরাল, ঘেংরাজদের দেখে হাসি-মস্করা করতে পেয়ে, ভারি খুশি হয়েছে। সে ভুলে গেছে যে নিজেই সে এত-কাল পালা-হাসই ছিল —ঐ সরাল-ঘেংরালের মতো ঘর আর পুকুর করে কাটিয়েছে। তার উপর সে আজন্ম-খোড়া, সবে আজ নূতন উড়ছে। বুনো হাসের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে চলা তার কর্ম নয়! খোড়ার ডানার তেজ ক্রমেই কমছে আর দমও ক্রমে ফুরিয়ে আসছে, সে হাপাতে হাপাতে তাড়াতাড়ি ডানা ঝাপটেও আর পেরে উঠছে না । মধ্যে থেকে এক-এক-করে প্রায় আটহাস পিছিয়ে পড়েছে। সেথো হাসর যখন দেখলে খোড়া পিছিয়ে পড়ে, আর পারে না, তখন পাণ্ডা-হাসকে ডাক দিয়ে জানালে –‘চকা-নিকোবর, চক-নিকোবর !" চকা উড়তে-উড়তেই শুধোলে—‘র্ক্যেন কঁ্যেন্‌ ক ও কোন ? সেথোরা বললে –‘পিছিয়ে পোলো খোড়া ঠ্যাং ! আগের মতো সে সো করে চলতে-চলতেই চকা বলে উঠল— জোরে চলায় নাই কোনো দায়, আস্তে গেলেই হাপ লেগে যায় ! অমনি সব হাস এক সঙ্গে বলে উঠল –‘চলে চল, চলে চল, ভাই, চলে চল ।” চকার কথা-মাফিক খোড় হাস জোরে চলতে চেষ্টা করতে দুগুণ হঁাপিয়ে পড়ল ; আর সে আস্তে-আস্তে ক্রমে মাঠের ধারে-ধারে নারকোল গাছের প্রায় মাথা পর্যন্ত নেমে পড়বার মতো হল। তখন সেথো ইসরা আবার ডাক দিলে –‘চকা নিকোবর –চকা-চকাচকা ! ミ>>