পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চকা শুধোলে –‘সাতার জানো না, তবে দৌড়তে মজবুত বোধ হয় ?’ বলেই চকা একৰার তার খোড়া পায়ের দিকে চেয়ে চোখ মটকালে । খোড়া হাস গম্ভীর হয়ে বললে –‘রাজহাস কোনো দিন ছুটে চলে না, তাই ছোট আয়ার অভ্যেসই হয়নি।’ বলে সে খোড়া-পা । আরো খুড়িয়ে রাজহাস কেমন চলে একবার দেখিয়ে দিলে। তার মনে হচ্ছিল এইবার চকা বললে বুঝি —তোমায় আমাদের দরকার নেই, ঘরে যাও । কিন্তু ঠিক তার উল্টোটা হল । চক-নিকোবর ছ'চারবার ঘাড়-নেড়ে বলল –‘তুমি তো বেশ সাফ-সাফ জবাব দিলে –একটু ভয় না করে ! ভালো, ভালো, তোমার সাহস আছে —সময়ে লায়েক হতে পারবে –বুকের পাট শক্ত, সকল কাজে পোক্ত’। দু'দিন এদলে থাক, দেখি তোমার হিম্মৎ কতট, তারপর যা হয় বিবেচনা করা যাবে। কী বল ? খোড়া হাস মাথা নেড়ে বললে –‘আমি তো তাই চাই । এতেই আমি খুশি । এইবার চক-নিকোবর বুড়ো-আংলা রিদয়ের দিকে ঠোট বাড়িয়ে বললে –‘একী, এ কোন জানোয়ার ? ভারি তো অদ্ভুত ! খোড়া হাস তাড়াতাড়ি বললে –‘এটি আমার দেশের লোক, হাস চরাবার কাজ করে, সঙ্গে থাকলে কাজে লাগতে পারে। চকা নাক তুলে উত্তর করলে –‘বুনো হাসের কোনো কাজে লাগবে না। --পোষা হাসের কাজে লাগবে বটে ! ওর নাম কী ? মানুষের নাম বললে পাছে বুনো হাসর ভয় খায়, সেইজন্তে খোড়া হাস অনেক ভেবে বললে –‘ওর নাম অনেকগুলো । আমরা ওকে ডাকি বুড়ো আংলা বলে। আঃ, বড়ো ঘুম পাচ্ছে ’ বলেই খোড়া হবার হাই তুলে চোখ বুজলে ; পাছে চকী আর-কিছু প্রশ্ন করে তাই খোড়া আগে থাকতেই সারধান হচ্ছে —‘মাগো, চোখ আপনা-হতেই ঢুলে আসছে। চলরে বুড়ো-আংল, ঘুমোবি চল । চক-নিকোবর বড়ো পাকা হাস ; বুড়ো হয়ে তার মাথা থেকে × ახr