পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্ভাবনা আছে স্ট্রে জানা গেল। কিন্তু এমন কী বিপদ হতে পারে। কুঁকড়ে দেখলেন, অন্তদিন যেমন আজও সন্ধ্যাবেল ঠিক তেমনি চারি দিক নিরাপদ বোধ হচ্ছে, অন্তত র্তার এই গোলাবাড়ির রাজত্বের বেড়ার মধ্যে কোনো যে শক্র আছে, তা তো কিছুতেই মনে হয় না। সে যে মিছে ভয় পাচ্ছে,সেটা তিনি জিন্মাকে বুঝিয়ে দিতে চেষ্ট করলেন। ভয় কাকে বলে কুকুরের জানা ছিল না ; কিন্তু মিথুকি আর মিছে নিন্দে রটাতে গোলাবাড়িতে আর পাড়াপড়শীর ঘরেতে যারা, তাদের সে ভালোরকমই জানত। কুঁকড়ে না জানলেও ওই র্বোচা-ঠোঁট চড়াই আর ডিগডিগে-পা ময়ুর যে কুঁকড়োর দুই প্রধান শত্রু, সেটা জিন্ম কুঁকড়োকে জানিয়ে দিতে বিলম্ব করলে না। তালচড়াই, যার নিজের কোনো আওয়াজ নেই, হরবোলার মতো পরের জিনিস নকল করেই চুলবুল করে বেড়ায়, পরের ধনে পোদ্দারি যার পেশা, আর ওই ময়ুর, জরি-জরাবৎ আর হীরে-মানিকের ঝকমকানি ছাড়া আর কোনো আলো যার ভিতরে বাহিরে কোথাও নেই, দরজি আর জহুরির দোকানের নমুনে-বোলাবার আলনা ছাড়া আর কিছুই যাকে বলা য়ায় না, এই অদ্ভূত জানোয়ার তার প্রধান শত্রু শুনে কুঁকড়ো একেবারে হাঃ হাঃ করে হেসে উঠলেন । জিন্ম বললে, ‘কারো সঙ্গে খোলাখুলি শক্রতা করবার সাহস আর ক্ষমতা না থাকলেও এরা সবাইকে হেয় মনে করে, এমন-কি কুঁকড়োর নিন্দেও সুবিধা বুঝে করতে ছাড়ে না। এবং খাওয়া-পর-সাজগোজের দিক দিয়েও এরা পাড়ার মধ্যে নানা বদ চাল ঢোকাচ্ছে । এদের দেখাদেখি অন্যেরাও বেয়াড়া বেচাল বে-আদব হয়ে ওঠবার জোগাড়ে আছে। সাদাসিধেভাবে খেটেখুটে পাড়াপড়শীকে ভালোবেসে অনিন্দে থাকতে চায় যে-সব জীব, তাদের এই-সব সাজানো পাখিরা বলে, ‘ছা-পোষার দল। আর নিষ্কর্ম বসে-থাকা পালকের গদীতে কিম্বা মাথায়ু পালক গুজে হাওয়া খেয়ে ঘুরঘুর করাকেই এরা ৰলে চাল। সেটা রাখতে চালের সব খড় উড়ে গেলেও এরা নিজের বুদ্ধির প্রশংসা নিজেরাই করে থাকে, আর অনেক স্ববুদ্ধি পাখির মাথা Swo