পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাকে এমনি নাকাল করেছে যে, বেচার শেয়াল একেবারে হয়রান হয়ে পড়েছে ; তার মাথার আর ঠিক নেই ; কেবলি দেখছে যেন চোখের সামনে হাস ঘুরছে। সে গাছের তলায় সূর্যের আলো দেখে ভাবছে হাস ; প্রজাপতি উড়লে হাস বলে লাফিয়ে ধরতে যাচ্ছে ! যতক্ষণ দিনের আলো রইল চক-নিকোবরের দল কিছু দয়ামায়া না করে শেয়ালকে হয়রান করেই চলল। শেয়ালের তখন আর নড়বার শক্তি নেই, সে কেবল মাটির উপরে হাসের ছায়াগুলো থাবা দিয়ে-দিয়ে আঁচড়াতে থাকল। হাসের যখন দেখলে শেয়ালটা মড়ার মতে শুকনো পাতার উপরে শুয়ে পড়ে হাপাতে লেগেছে, তখন তারা—“কেমন ! কেমন । হাস ধরবে ? বলতে-বলতে, চাদপুরের জঙ্গল ছেড়ে নালমুড়ির চরের দিকে চলে গেল । ২৩০