পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ববিধে পেলেই ধরবে। তারপর ভোঁদড়, ভাম তুজনে আছে — যেখানে-সেখানে গাছের কোটরে ঢুকতে গেলে বিপদে পড়বে কোনোদিন। জলের ধারে উবেড়াল আছে –একলা চান করবার সময় সাবধান ! যেখানে-সেখানে জড়ো-করা পাথরের উপরে বসতে যেও না, তার মধ্যে বেজি লুকিয়ে থাকতে পারে। শুকনো-পাতাবেছানো জায়গা দেখলেই সেখানে গুতে যেয়ে না ; পাতাগুলো নেড়ে, তলায় সাপ কি বিছে আছে কিনা, দেখা ভালো । মাঠ দিয়ে যখন চুল, তখন আকাশের দিকে কি একবার চেয়ে দেখ — সেখানে বাজ-পাখি, চিল, কাক, শকুনি আছে কিনা ? সেট একবার-একবার দেখে চল মন্দ নয়। ফস-করে ঝোপে-ঝাড়ে উঠতে যেয়ে না ; গেরো-বাজগুলো অনেক সময় সেখানে শিকার ধরতে লুকিয়ে থাকে। সন্ধ্যা হলে কান পেতে শুনবে, কোনোদিকে পেচা ডাক ; কিনা। পেচার। এমন নিঃশব্দে উড়ে আসে যে টের পাবে না কখন ঘাড়ে পড়ল ? তার এত শত্রু আছে শুনে রিদয় ভাবলে, বাচা তো তাহলে শক্ত দেখছি। সে চকাকে বললে –“মরতে ভয় নেই। তবে শেয়ালকুকুরের কিংবা শকুনের খাবার হতে আমি রাজী নই। এদের হাত থেকে বাচবার উপায় কিছু আছে বলতে পার ? চক একটু ভেবে বললে –‘বনের যত ছোটো পাখি আর জন্তু এদের সঙ্গে ভাব করে ফেলবাব চেষ্টা করে ; তাহলে কাঠঠোকরা,, ইছর, কাঠবেড়ালি, খরগোস, তালচড়াই, বুলবুলি, টুনটুনি, শু্যামা, দোয়েল, এরা তোমায় সময়-মতো সাবধান করে দেবে ; লুকোবার জায়গাও দেখিয়ে দেবে। আর দরকার হয় তো এই সব ছোটে৷ জানোয়ারেরা তোমার জন্তে প্রাণও দিতে পারে।” চকার কথা-মতে সেই দিনই রিদয় এক কাঠবেড়ালির সামনে উপস্থিত –ভাব করতে। যেমন দৌডে রিদয় সেদিকে যাওয়া, অমনি কাঠবেড়ালির গিয়ে গাছে ওঠা ; আর ল্যাজ-ফুলিয়ে কিচ-কিচ করে গালাগালি শুরু করা —অত ভাবে আর কাজ নেই। RථA