পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে কাঠ-বেড়ালির বাসায় পাঠিয়ে দিলে। বুড়ি যেখানকার জিনিস সেখানে রেখে, আসবার সময় রাস্তার মাঝে একটা মোহর পেয়ে গেল। যতো ধর্ম স্ততে জয়’ বলে খবরের কাগজের সম্পাদক •খবরটা শেষ করলেন। এই বুড়ো-আংলাটি কিনি –লোকে তাই নিয়ে মাথা ঘামাতে লাগল সুরেশ্বরে, বাগবাজারে, ফরিদপুরে, যশোহরে, ময়মনসিংহে, আগরতলায়, আসামে, কাছাড়ে ! এই ঘটনার ছুদিন পরে আর এক কাও ! গঙ্গা আর ব্রহ্মপুত্র যেখানে এক হয়েছে, সেইখানে আড়ালিয়ার চর। বুনোহঁাসের সঙ্গে রিদয়কে নিয়ে খোড়া হাস সেই চরে চরতে নামল। চরটt কেবল বালি, মাঝে-মাঝে ছোটে-ছোটো ঝাউ, আর এখানে-ওখানে শুকনো ঘাস । চরের একদিকে আড়ালিয়া গ্রাম। হাসরা চরছে, এমন সময় চরের উপরে কতকগুলো জেলের ছেলে খেলতে এল । মানুষ দেখেই চকা হাক দিলে, আর অমনি সব বুনো হাস ডানমেলে উড়ে পড়ল। কিন্তু খোড়। হাস ছেলে দেখে একটুও ভয় পেলে না ; বরং গলা চড়িয়ে বুনো হাসদের বললে – ছেলে দেখে ভয় কী ? রিদয় হাসের পিঠ থেকে নেমে একটা ঝাউতলায় বসে বাউফুল কুড়িয়ে মার্বেল খেলছে, ছেলেগুলো কাছে আসতেই সে একবার শিস দিয়ে খোড়াকে সাবধান করে একটা ঘাস-বনে লুকিয়ে পড়ল । কিন্তু খোড়ার আজ কী যে হল, সে যেমন চরছিল তেমনি চরে বেড়াতে লাগল। ছেলে-ফুটে একটা বালির ঢিপি ঘুরে একেবারে ছুদিক থেকে হাসকে তাড়া করলে। কেমন করে যে তারা এত কাছে হঠাৎ এসে পড়ল, ভেবে না পেয়ে খোড়া একেবারে হতভম্ব t উড়তে যে জানে তা মনেই এল না। সে ক্রমাগত দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করতে লাগল। তারপর একটা ডোবার কাছে গিয়ে খোড়া ধরা পড়ে গেল । রিদয়ের প্রথমে মনে এল যে ছুটে গিয়ে ছেলে-ত্বটোকে থাবড়া মেরে হাসটা কেড়ে নেয়, কিন্তু তখনি মনে পড়ল, সে ছোটো হয়ে 는 8•