পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানোয়ারের আর জানতে বাকি রইল না। গাছে-গাছে তালচড়াই, গাং-শালিক —এর সুরে-তালে রিদয়ের কীর্তি-কথা ঢেড়াপিটিয়ে বলে বেড়াতে লাগল : শুন এবে অবধান পশুপক্ষিগণ । বুড়ো-আংলা মহাকাব্য করি বিবরণ ॥ কাঠবেড়ালি রামদাস তাহারে উদ্ধরি । বীরদাপে চলে যথা রাজ হংসেশ্বরী ॥ হাসের পালক দুটা কেটে নিল বুড়ি । যাহে লেখা যায় মহাকাব্য ঝুড়ি-ঝুড়ি ॥ হাসের দুর্দশা দেখি আংলা বুড়ে ধায়। হংসেশ্বরী ছাড়ি বুড়ি পালাল ঢাকায় ॥ মোহন্ত তুলিয়া নিল হংসের কলম। পোন৷ চাই বলি তাহে লেখে বিজ্ঞাপন ৷ তালচটক তাল ধরে গানশালিকে কয় । সুবচনী হাস নিয়ে চলিল রিদয়। খোড়া হাসেরে লইয়া, খোড়া হাসেরে লইয়া রচিলাম মহাকাব্য যতন করিয়া ॥ আংলা বিজয় নামে কাব্য চমৎকার । গোটা দুই শ্লোক তারি দিমু উপহাব ৷ সকলে শুনহ আর শুনাহ অন্তকে । ক্ষীর হতে নীর পিয়ে ধন্য হোক লোকে ॥ ইতি আংলা বিজয় মহাকাব্যে প্রথম সর্গ: | আজ চক-নিকোবর ভারি খুশি । সে রিদয়কে কুর্নিস করে বললে –‘একবার নয়, বার-বার তিনবার তুমি দেখিয়েছ যে পশুপাখিদের তুমি পরমবন্ধু! প্রথমে শেয়ালের মুখ থেকে বুনো হাস লুসাইকে উদ্ধার, তার পরে কাঠবেড়ালির উপকার, সব-শেষে পোষা হাসকে বাচানো। তোমার ভালোবাসায় আমরা কেন হয়ে রইলেম । আর তোমায় আমরা ফেরাতে চাইনে । তোমার যদি २8७