পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টুং-লোল্লাটা-ঘুম স্বরেশ্বর ছেড়ে বৃষ্টি আরম্ভ হল। এতদিন রোদে কাঠ ফাটছিল। সকালে যখন হাসের দল যাত্রা করে বার হল তখন আকাশ বেশ পরিষ্কার কিন্তু ব্রহ্মপুত্র-নদের রাস্ত ধরে যতই তার উত্তর-মুখে এগিয়ে চলল, ততই মেঘ আর কুয়াশা আর সঙ্গে-সঙ্গে বৃষ্টি দেখা দিলে! হাসের ডানায় পাহাড়ের হাওয়া লেগেছে, তারা মেঘ কাটিয়ে হু-হু করে;চলেছে ; মাটির পাখিদের সঙ্গে রংতামাশ করে বকতে-বকতে চলবার আর সময় নেই, তারা কেবলি টানা মুরে ডেকে চলেছে —‘কোথায়, হেথায়, কোথায়, হেথায়।’ ইসেন্স দলের সাড়া পেয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুপারের কুঁকড়ে ঘাটিতে ঘাটিতে জানান দিতে শুরু করলে। পুর্ব পারের কুঁকড়ে হাকলে —‘সাতনল, চন্দনপুর, কোমিল্লা, আগরতলার রাজবাড়ি, টিপারা, হীলটিপার। পশ্চিম পারের কুঁকড়ে হাকলে –‘মীরকদম, নারাণগঞ্জ, ঢাকার নবাববাড়ি, মুড়াপাড়া।” পুবে হাকলে –‘ভেংচার চর, পশ্চিমে হাকলে –‘চর ভিন-দোর।’ হাসের তেজে চলেছে, এবার ছোটো-ছোটো গ্রাম, নদীর আর নাম শোনা যাচ্ছে না, বড়ে-বড়ো জায়গার কুঁকড়ে হাকছে —‘পাবন, রামপুর-বোয়ালিয়া, বোগর, রাজসাহি, দিনাজপুর,রংপুর, কুচবেহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি । পুবের কুঁকড়ে অমনি ডেকে বললে –‘খাসিয়া-পাহাড়, গারো-পাহাড়, জৈতিয়া-পর্বত, কামরূপ।’ বুনো-হাসের দল পাহাড়-পর্বত অনেক দেখেছে, শিলিগুড়ি থেকে হিমালয় ডিঙিয়ে মানস-সরোবরে চট করে গিয়ে পড়া গেলেও তারা শিলিগুড়ি থেকে ডাইনে ফিরে, ফুলচারি, হাড়গিলের-চর, ধুবড়ি, শিক্ষাং, গৌহাটি, দিব্রুগড়, কামরূপ হয়ে যাবার মতলবই করলে, কেননা, দার্জিলিঙ হয়ে যাওয়া মানে ঝড়-ঝাপটা, বরফের 는 8: