পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে চলল, ঠিক সেই সময় গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি নামল। কাঠ-ফাট রোদের পরে নতুন বৃষ্টি পেয়ে মাটি ভিজে উঠেছে, পাতা গজিয়ে উঠেছে, বনের পাখিরা আনন্দে উলু-উলু দিয়ে কেবলি বলতে লেগেছে, বৃষ্টির গান : - বিষ্টি পড়ে টাপুর-টুপুর বাজছে বাদল গামুর-গুমুর ডাল-চাল আর মক্কা-মসুর ফোটায়-ফোটায় নামে— আকাশ থেকে নামে— • জলের সাথে নামে— ঘরে-ঘরে নামে— টাপুর-টুপুর গামুর-গুমুর গামুর-গুমুর টাপুর-টুপুর। ‘তিষ্টা’ নদীর কাছে এসে হাসের শুনলে, নদীর দুপারে সবাই বলছে : মেঘ লেগেছে কালা-ধলা বইছে বাতাস জালা-জলা বরফ-গলা পাগলা-ঝোরা শুকনা ধুয়ে আসে তিষ্টা নদীর পাশে— ঝাপুর-ঝুপুর ছাপুর-ছুপুর ছাপুর-ছুপুর ঝাপুর-ঝুপুর। নতুন জল-বাতাস পেয়ে পৃথিবী জুড়ে সবাই রোল তুলেছে, আকাশের হাসেরাই বা চুপ করে থাকে কেমন করে, তারা পাহাড়ের গায়ে সিড়ির মতো ধাপে-ধাপে আলু পেয়াজ, শাক, সবজি খেতগুলোর ধার দিয়ে ডাকতৃে-ডাকতে চলল—‘রসা জমি ধ্বসে পড় না, বসে থেক না, ফসল ধরাও, ফল ধরাও নতুন বীচে ফল ধরাও ’ T २8१