পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাহাড়ি মিন্ত্রি সব গেঁথে তুলেছে। রিদয়ের মনে হল, ঠিক যেন কেল্লার মধ্যে ঢুকেছি। ঠিক সেই সময় হাসের দল ডাক দিলে – বাতাসিয়া বাতাস-জোর, ধরে বস। কিন্তু গুছিয়ে বসবার আগেই রিদয় বাতাসে লাল ছাতার মতো উড়ে একেবারে পথের মাঝে এসে বসল। সো-সো করে বঁাশি দিয়ে রেল দাঞ্জিলিঙের দিকে বেরিয়ে গেল । * * পাহাড়ের মোড়টা মুনসান, লোক নেই, দূর থেকে একটা মোষের গাড়ি আসছে। রিদয় আস্তে-আস্তে সেই মোষের গাড়ি ধরে ঝুলতে-ঝুলতে দাৰ্জিলিঙের বাজারে হাজির। হাসের মাথার উপরে ডাক দিয়ে গেল –‘আলুবাড়ি গুম্ফা মনে রেখ, সেখানে আমরা রইব। রিদয় আলুবাড়ি-আলুবাড়ি নাম মুখস্থ করতে-করতে বাজার দেখতে চলল। তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে —অন্ধকারে রিদয় ভিড়ের মৰে, মিশে চলেছে । বাজারের ওধারে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ে বরফের উপর সন্ধ্যার আলো যেন সোনার মতো ঝলক দিয়ে উঠল । তারপর গোলাপী, গোলাপী থেকে বেগুনী হয়ে আবার যে শাদা সেই শাদা বরফ দেখা দিলে। সেই সময় চৌরাস্তায় গোরার বাছি শুরু হল, আর দলে-দলে লোক সেইদিকে ছুটল। রাস্তার দুধারে জুতো, খাবার, বাসন, গহনার দোকান –এখানে-ওখানে ভুটিয়া লামারা মড়ার মাথার খুলি নিয়ে ঘণ্ট-ডমরু বাজিয়ে নন্দি-ভূঙ্গির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাহাড়ের রাস্তা কখনো রিদর ভাঙেনি, দু-এক চড়াই উঠেই বেচার হাপিয়ে পড়ল ; কোথায় বসে জিরোয় ভাবছে, এমন সময় একটা খেলনার দোকানে নজর পড়ল, সেখানে লাল উলের মোজা পরানো ঠিক তারি মতো অনেকগুলো পুতুল সার্শির গায়ে কাগজের বাক্সতে দাড় করানো রয়েছে। রিদয় চুপিচুপি দোকানে ঢুকে একটা খালি বাক্স দেখে তারি মধ্যে শুয়ে ब्रहेल । সার্শিমোড়া দোকানের মধ্যে বেশ গরম, এক খোট্ট বাবু বসে বিড়ি টানছেন আর একটা ভুটিয়া মেয়ে দরজা ধরে দাড়িয়ে আছে। &?9