পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই। ঘুম-রকট হল ঘুম দেবার স্থান, জলাপাহাড় হল জল খাবার কিংবা জলে হাওয়া খাবার জায়গা, রংটং হল ষোবিখানা, কাপড় রঙাবার জায়গা, টুং হল ঘড়ির ঘর, এমনি সব নানা রক নানা দালান চাতাল গুহা এক-এক কাজের জন্তে রয়েছে। ঘুম-রকে দিনে বড়ো কেউ আসে না, দু’চার পথিক পাখি কী জানোয়ার কখনো-কখনো জিরোতে বসে, না হলে জায়গাটা সারাদিন ফাঁকা থাকে দেখে বুড়ে রামছাগল মাস্টার এখানে ছানা পড়াবার জন্তে একটা ইস্কুল খুলেছেন। পাখির-ছান শেয়াল-ছানা শুয়োর-ছান ভালুক-ছানারা ঘুম-রকে বড়ো-বড়ো পাথরের বেঞ্চিতে কেউ পা ঝুলিয়ে কেউ বা বেঞ্চিতে দাড়িয়ে সারাদিন ঝিমোচ্ছে আর রাম-ছাগল শিংয়ের খোচায় তাদের জাগিয়ে দিয়ে কেবলি পড়াচ্ছেন, ক, খ, গ, ঐ ব্যে স্তে ! একে ঘুম-রক তাতে আজ বড়ো বাদলা, শিংয়ের খোচ খেয়েও চুনে-চুনে পড়ছে দেখে রামছাগলও কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমের যোগাড় করছেন এমন সময় রিদয়কে নিয়ে হাসের উপস্থিত। অচেনা লোক দেখে মাস্টারমশায় তাড়াতাড়ি গা ঝাড় দিয়ে মস্ত ম্যাপ অঁাকা প্রকাণ্ড কালো সেলেটখানায় শিং বুলিয়েবুলিয়ে ছেলেদের জিওগ্রাফির লেকচার শুরু করলেন : জলের জন্তুরা চোখ ফুটেই দেখে জল আকাশ, ডাঙার জীব তারা দেখে বন-জঙ্গল মাঠ, আর পাহাড়ের ছেলেমেয়ে তারা দেখে আকাশের উপরে বরফে ঢাকা ওই হিমালয়ের চুড়ো ক’টা। হিমআলয় সন্ধি করে হয়েছে হিমালয় অর্থাৎ কিনা হিমালয় মানে হিমের বাড়ি, পাহাড়ি ভাষায় বলে হিমালয়, সমস্কৃতোতে বলবে হিমাচলম্, ইংরেজ তারা ভালো রকম উচ্চারণ করতেই পারে না, ‘র’ বলতে ‘ল’ বলে ফেলে —তারা হিমালয়কে বলে ইমালোইরাস। হিমালয়ের মতো উচু আর বড়ো পৰ্বত জগতে নেই। সব দেশের সব পর্বত আমাদের এই হিমালয়ের চুড়োর কাছে হার মেনেছে। বলা চামড়া জানোয়ারেরা ধরাকে সর। জ্ঞান করে, আমাদের বলে কালো, কিন্তু তাদের সব চেয়ে বড়ো পাহাড় মোটে ষোলে। R&\s