পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুঁকড়ে থাকিকে গোলাবাড়িতে দেখে অবাক হয়ে বললেন, ‘তুই যে চরতে যাস নি ? খাকি চমকে উঠে ঘাড় ফিরিয়ে ডানার ঘোমটায় মুখ বাপৰে । কুঁকড়ো শুধোলেন, গর্তটার মধ্যে মুখ গুজড়ে হচ্ছিল কী, -শুনি ? খাকি আমতা-আমতা করে বললে, ‘এই চোখ আর ঘাড়টা টনটন করছিল— কাকে দেখবার জন্তে ? কুঁকড়ো শুধোলেন। খাকি বললে, ‘কাকে আবার । কুঁকড়ে বললেন, ‘হা, শুনি, কাকে । খাকি কান্নার মুর ধরলে, ‘তুমি বল কী গো । কুঁকড়ো ধমকে বললেন, ‘চোপরাও, সত্যি কথা বল। খাকি বিনিয়ে-বিনিয়ে বললে, “পিউ পাখিকে ’ কুঁকড়ে খাকির দিক থেকে একেবারে মুখ ফেরালেন, খাকি আস্তে আস্তে পগার পারে দৌড় দিলে। কুঁকড়ো কুকুরকে বললেন, ‘একটা ঘড়িকে ভালোবাসা, এমন তো কোথাও শুনি নি। এ বুদ্ধি খাকিকে দিলে কে বলে তো । ওই ছিটের মেরজাই-পর চিনে মুরগিটার কাজ ? কুকুর উত্তর দিলে । কুঁকড়ো শুধোলেন, ‘কোন মুরগিটি, বলে তো ; ওই যেটা বুড়ে বয়েসে ঠোঁটে আলতা দিয়ে বেড়ায় সেইটে নাকি ? কুকুর উত্তর করলে, ‘হঁ ই, সেই বটে। তিনি যে আবার সবাইকে বৈকালি পার্টি দিচ্ছেন।” ‘কোথায় সেটা হচ্ছে। কুঁকড়ো শুধোলেন। চড়াই উত্তর দিলে, “ওই কুল গাছটার তলায় যেখানে পাখি তাড়াবার জন্তে একটা খড়ের সাহেবি কাপড়-পরা কুশেপুতুলের কাঠামো মালী খাড়া করে রেখেছে, সেইখানে। খুব বাছা বাছ নামজাদা পাখিরাই আজ যাবেন । কাঠামোর ভয়ে ছোটোখাটো পাখিরা সেদিকে এগোতেই সাহস পাবে না।’ సిని