পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বামিত্র দাড়ি মোচড়াতে-মোচড়াতে বললেন –ণীতে যাতে লোক কষ্ট না পায় তাই দেশটা যতটা পারি সূর্যের কাছে দিয়েছি, এতে দোষটা হল কী ? বিশ্বকর্ম বললেন —উচু জমিতে দিনে যেমন গরম রাতে তেমনি ঠাণ্ড, এটা তো তোমার মনে রাখা উচিত ছিল, এত উচুতে তো কিছু গাছপালা গজানো শক্ত, গরমে জলে যাবে বরফে সব জমে যাবে। এত পরিশ্রম তোমার সব মাটি হল, দেখছি ? বিশ্বামিত্র মাথা চুলকে বললেন –‘আমি সব এখানকার উপযুক্ত মানুষ ছিষ্টি করে দিই। তারা দেখবে এই পাহাড়কে ভূস্বর্গ করে তুলবে!’ বিশ্বকর্ম বললেন —‘আর তোমার ছিষ্টি করে কাজ নেই, মানুষ গড়তে শেষে বঁাদর গড়ে বসবে।’ ‘কোনো ভয় নেই, এবার আমি খুব সাবধানে গড়ছি । দেখ এবারে ঠিক হবে –বলে বিশ্বামিত্র একরাশ প্রজাপতির ডানা গড়ে রেখে বিশ্বকর্মাকে ডেকে বললেন –‘দেখসে মজা ? বিশ্বকর্ম ভেবেই পান না, এত ডানা নিয়ে বিশ্বমিত্র কী করবেন । তিনি শুধোলেন —‘এগুলো কী হবে ভাই ? বিশ্বামিত্র খানিক কপালে আঙুল বুলিয়ে চিন্তা করে বললেন —‘পাহাড়দের সব ডান দিয়ে দিতে চাই, তারা যেখানে খুশি — শীতের সময় গরমদেশে, গরমের সময় শীতদেশে, উড়ে-উড়ে বিচরণ করতে পারবে, তা হলে এখানে যারা বাস করবে তাদের আর কোনো অসুবিধে হবে না ? বিশ্বকৰ্ম ভয় পেয়ে বলে উঠলেন –‘সর্বনাশ, পাহাড় যেখানেসেখানে উড়ে বসতে আরম্ভ করলে যে-সব দেশে পাহাড়-পর্বত গিয়ে পড়বে, সে-সব দেশের দশা হবে কী ? লোকগুলো-মৃদ্ধ সারা-দেশ যে গুড়িয়ে ধুলো হয়ে যাবে ? বিশ্বকৰ্ম বলে উঠলেন –তা কেন। লোকেরা সব ধন-দৌলত খাবার-দাবার নিয়ে পাহাড়ে চড়ে বসবে, তা হলেই কোনো গোল ૨૭૨