পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার ডানার কুচিগুলো এখানে-ওখানে সমুদ্রের মাঝে টাপুর মতো ভাসতে লাগল। বিশ্বকর্ম সেগুলোর উপরে মাটি ছড়িয়ে দিলেন, বসতি বসিয়ে দিলেন। তারপর বিশ্বামিত্র যত ডানা গড়ে রেখেছিলেন সেগুলো দিয়ে বিশ্বকৰ্ম প্রজাপতি ভোমরা মৌমাছি সব গড়ে ছেড়ে দিলেন। তারা দেশ-বিদেশ থেকে ফুলের রেণু ফুলের মধু এনে পাহাড়ে-পাহাড়ে বাগান বসাতে শুরু করে দিলে। দেখতেদেখতে পাথরের গায়ে সব ফুল গজাল ফল ফলল। সব ঠিক করে বিশ্বকৰ্ম প্রকাণ্ড দুই ডান দিয়ে দক্ষ প্রজাপতি ছিষ্টি করে হাতপা ধুয়ে ভাত খেতে গেলেন, শাস্তরের ছিষ্টিতত্ত্ব তো এই হল, তারপর দক্ষ প্রজাপতির কথা পুরাণে লিখেছে যেমন, বলি, শোনে— বিধির মানস স্থত দক্ষমুনি মজবুত প্রসূতি তাহার ধর্ম-জায়া। তার গর্তে সতীনাম অশেষ মঙ্গলধাম জনম লভিল মহামায়া । নারদ ঘটক হয়ে নানামতে বলে কয়ে শিবেরে বিবাহ দিল সতী । নারদ তো ঘটকালি নিয়ে সরে পড়লেন, এদিকে শিব যাডে চড়ে ভুটিয়ার দলের সঙ্গে ডমরু বাজিয়ে জটার সাপ জড়িয়ে হাড়মালা গলায় ঝুলিয়ে নাচতে-নাচতে হাজির। দক্ষ প্রজাপতি বরের চেহারা দেখেই চটে লাল— শিবের বিকট সাজ দেখি দক্ষ ঋষিরাজ বামদেবে হৈল বাম-মতি । সেই থেকে জামাই শ্বশুরের মুখ দেখেন না। দক্ষ প্রজাপতিও শিব-নিন্দে না করে জল খান না। এই সময়ে দক্ষ শিবহীন যজ্ঞ ২৬৪