পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের ভাব কেমন জামাই শ্বশুরে, যেমন দেবতা আর অস্থরে, যেমন রাবণ আর রামে, যেমন কংস আর শুামে, যেমন স্রোতে আর বঁাধে, যেমন রাহু আর চাদে, যেমন জল আর আগুনে, যেমন তেল আর বেগুনে, যেমন পক্ষী আর সাতনলী, যেমন আদা আর র্কাচকলা, যেমন ঋষি আর জপে, যেমন নেউল আর সাপে, যেমন ব্যাজ আর নরে, যেমন গোমস্ত আর চোরে, যেমন কাক আর পেচক, যেমন ভীম আর কীচক । ‘দক্ষ যখন অমান্ত করে বারণ করেছেন নিমন্ত্রণ, কেমন করে সেখানে তোমার যাওয়া হয় ? সতী কিন্তু শোনেন না শিবের কথা, তিনি সেজেগুজে নন্দীকে সঙ্গে নিয়ে মহাদেবের ষাড়ে চড়ে বাপের বাড়ি চললেন দুঃখিনী বেশে। কুবের দেখে বাক্স-ভরা এ-কালের সে-কালের গহনা এনে বললে,—‘মা, এমন বেশে কি যেতে আছে । বাপের বাড়ির লোকে বলবে কি— ওমা, একখানা গয়নাও দেয়নি জামাই ? সতী কুবেরের দেওয়া গহনা পরে সাজলেন, কিন্তু দক্ষ প্রজাপতির কন্যা সতী এমন সুন্দরী যে সোনা হীরে তার সোনার অঙ্গের আলোর কাছে টিম-টিম করতে লাগল। দূর ছাই’ বলে সতী সেগুলো ফেলে দিয়ে পাহাড়ি ফুলের সাজে সেজে বার হলেন । ত্রিলোক সতীর চমৎকার বেশ দেখে ধন্ত্য-ধন্ত্য করতে-করতে সঙ্গে চলল । এদিকে ছোটাে মেয়ে সতী এল না, কাজের বাড়ি শূন্ত ঠেকছে, সতীর মা কেবলি আঁচলে চোখ মুচছেন এমন সময় দাসীরা এসে প্রস্থতিকে খবর দিলে— ‘ওমা তোর সতী এল ঐ ! এই শুনে— রানী উন্মাদিনী-প্রায় কৈ সতী বলিয়া অতি বেগে তথা ধায় । অম্বিকারে দৃষ্টি করি বাহিরেতে এসে আয় মা বলে লইয়া কোলে "ఆ ఆ