পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠোটে গিরগিটির মতে রিদয়কে ধরে বার কতক আকাশে ছুড়ে দিয়ে আবার লুফে নিয়ে আদর করে বললে –‘দেখো ছোকরা, এত রাত্রে ছাতে খুটখাট করলে এখনি স্টেশন-মিস্টেস মেমের ঘুম ভেঙে যাবে আর স্টেশন-মাস্টার এসে আমাদের উপরে গুলি চালাবে। যদি স্টেশন দেখতে চাও তো ওই জলের পাইপটা ধরে নেমে যাও কিন্তু খবরদার স্টেশনের জল খেও না, তাহলেই ম্যালেরিয়া হয়ে যুধিষ্ঠিরের চার ভাই যেমন একবার মরেছিলেন তেমনি তুমিও মরবে ।” * রিদয় বললে –‘সে কেমন কথা ? কঙ্ক বললেন –‘শোনো তবে বলি ? কথার নাম শুনেই চারদিক থেকে হাস পাখি যে-যেখানে ঘুমিয়ে ছিল চাঁদের আলোতে টিনের ছাতে বুড়ো কঙ্ক-পাখিকে ঘিরে বসল। চাদটীও ন গল্প শুনতে কঙ্কের ঠিক পিঠের দিকে টিনের ছাদের কার্নিসে এসে বসল। কঙ্ক গলা খাকানি দিয়ে শুরু করলেন : আমাদের কঙ্ক বংশের শেষ অঙ্কের যে আমি, আমার স্বৰ্গীয় প্রপিতামহ ছোটো-কঙ্ক, র্তার প্রস্বগীয় মধ্যম প্রপিতামহ মেঝো-কঙ্ক মহাশয়ের অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহ ধর্মাবতার বড়ো-কঙ্ক —তিনি কাম্য বনে এক রম্য সরোবরে বাস করছেন, এদিকে একদিন হয়েছে কী,ন। ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরের তৃষ্ণা পেয়েছে। বনের মধ্যে ভেষ্ট পেয়েছে, খুজে-খাজে জল খেয়ে নিলেই হত, না হুকুম করলেন –-ওরে ভীম জল নিয়ে আয় । ভীম চললেন –জল খুজে-খুজে তারও তেষ্টা পেয়ে গেল। সেই সময় আমাদের ধর্মাবতার বড়ো-কঙ্ক সে পুকুরে পাহারা দিচ্ছিলেন। সেই কতকালের পান পুকুরটার দিকে ভীমের নজর পড়ল, জল দেখে ভীমের তেষ্টা যুধিষ্ঠিরের চেয়ে দুগুণ । বেড়ে গেল। ভীম তাড়াতাড়ি পুকরে নামলেন, অঞ্জলি ভরে বৃকোদর প্রায় পুকুরের অর্ধেক জল তুলে নিলেন দেখে আমার স্বগীয় প্রপিতামহের পিতামহের অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহ বলে উঠলেন ९४७