পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখতে পাহাড়ের গায়ে প্রকাও খিলেনের মতো একট গুহা দেখ । গেল, চকা হাসের দল নিয়ে তারি মধ্যে সোজা ঢুকে পড়ল – সেখানে বিষ্টি নেই, জল নেই, বাতাসও আস্তে-আস্তে আসছে সো-সো করে। ডাঙায় পা দিয়েই চকা দেখতে লাগল সেথো সবাই আছে কিনা। সবাইকে পাওয়া গেল, কেবল কঙ্ক-পাখি, যে তাদের পথ দেখিয়ে আনছিল তার কোনো খোজই হল না ! গুহাটার মধ্যে শুকনো বালি কাকর আর ঘাস হাসের তারি উপরে বসে ভিজে পালক ঝেড়ে-ঝুড়ে নিচ্ছে, চকা রিদয়কে নিয়ে গুহাটা তদারক করতে চলল। মস্ত গুহ, মুখের কাছটায় আলো পড়েছে, ভিতর দিকটা অন্ধকার, দু-ধারে দেওয়ালের গায়ে রেলগাড়ির বেঞ্চির মতো থাকে-থাকে পাথর সাজানো —একপাশে একটি ডোবা, তাতে পরিষ্কার বৃষ্টির জল ধরা রয়েছে। রিদয় বলে উঠল — ‘ব: fক যেন ধর্মশালাটি। আমনি গুহার ওধারে অন্ধকার থেকে কারা বলে উঠল – ‘ধর্মশালাই বটে। রিদয় ভয়ে কাঠের পুতুলের মতো দাড়িয়ে গেল । 必 চকা এদিকে-ওদিকে ঘাড় ফিরিয়ে দেখলে অন্ধকারে এ-কোণে ও-কোণে জোড়া-জোড়া সবুজ চোখ পিটপিট করছে। ওই রে বাঘ ’ বলেই চকা রিদয়কে মুখে করে তুলে দৌড়। রিদয় চেঁচাচ্ছে —“বাঘ বাঘ ? সেই সময় অন্ধকার থেকে জবাব হল –‘ভো-ভ্যে ভোড়া ! এবার রিদয়ের সাহস দেখে কে, সে বুক ফুলিয়ে ভেড়াদের সর্দার তুম্বার কাছে গিয়ে শুধোলে –‘এখানে যে তোমরা বড়ো এলে ? এটা আমাদের ঘর, যাও । চুম্বা তার কানের দু-পাশে গুগলি পেচ হুই শিং পাথরে ঘষে বললে –‘এখানে আমরা ইচ্ছে সুখে এসে ধরা পড়ে কামিখ্যার ভেড়া বনে গেছি, যাব কোথায়, যাবার স্থান নেই ? রিদয় অবাক হয়ে বললে –‘কী বল এই কামরূপ কামিখ্যার মন্দির ? এইখানে মানুষকে তারা ভেড়া ছাগল বানিয়ে রাখে ? ९br> ہو س+s, eی۔