পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুম্বা বলল –‘তাল ঠুকে টু লাগাতে আমি মজবুত কিন্তু ওদের দেখলেই যে আমাদের বুদ্ধি লোপ পায়, তার কী ? • রিদয় তুম্বার পিঠ চাপড়ে বললে –তোমার চোখ বুজে থেকে। —আমি যেমন বলব শিং টিং চট্‌ অমনি একসঙ্গে সবাই টু বসিয়ে দিও, দেখি ওরা কী করে !’ এবারে অন্ত-অন্ত ভেড়া তুলাড়ু ঝাকাডু তারা এগিয়ে এসে বললে –‘আমরা দু-একটা কথা বলতে চাই, আমরা চুসোতে রাজি কিন্তু তার আগে ভেবে দেখা কর্তব্য যে ফেরুপালদেল সরিয়ে দিয়ে কি আমরা চলতে পারব ? তার হলেন আমাদের ধোপা নাপিত এবং চরাবার কর্তা, ধরতে গেলে মেষবংশের মাথা । রাজদ্বারে শ্মশানে চ ওঁরা আমাদের বান্ধব, আত্মীয়, কুটুম্ব বললেই হয়। ওঁর। মাঝে-মাঝে আমাদের চিরুনি দাতে টেনে, নখে আঁচড়ে, রোয় ছেটে, চাম ছাড়িয়ে, চেটে-পুটে সাফ না করে দিলে –কে মড়মড়ায় কে পড়পড়ায় কে ভাঙে খড়ি ? আমাদের গা-শুদ্ধি হবারই যো নেই যদি না পাল-পার্বণে র্তাদের মাঝে-মাঝে মেষ চর্মের আসনে বসিয়ে মেষমাংসে আমরা মুখশুদ্ধি করিয়ে দিতে পারি, এছাড়া আমরা খাড়া আর হাড়িকাট সামনে রেখে হাড়িপ-বাবা আর হাড়ি-বি মাতাজীর কাছে প্রতিজ্ঞ করেছি –তুমি খণ্ড দ্বিখণ্ড৷ সুমুক্তি বাহার গরল ভাবহং মামুরিক্ত ঘুমাইয়া আছি স্মটিকের মুণ্ডি । আমাদের এ মাথায় কোনো কাজ করতে গেলেই গুরুর কোপে পড়তে হবে, প্রতিজ্ঞাভঙ্গ পাপে লিপ্ত হয়ে নরকেও যেতে হবে, এর জবাব আপনি কী দেন ? রিদয়কে আর কোনো জবাব দিতে হল না –র্থেকি খেকখেকি খেক-খেকানি তিনটে হেঁড়েল হঠাৎ এসে তিন মেড়ার লেজ ধরে টেনে নিয়ে চলল, হাসের ডানা ঝটপট করে গুহার মধ্যে অন্ধকারে উড়ে বেড়াতে লাগল, রিদয় তাড়াতাড়ি তুম্বার পিঠ চাপড়ে দুই হাত তার ঘাড় বেঁকিয়ে ধরে হুকুম দিলে –‘শিং টিং চট্ট, দে টুসিয়ে চটপট ।’ তুম্ব আর ভাবতে সময় পেলে না, অন্ধকারে ఆS8