পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোধ হবে জমিটাতে ঘাসও যেমন গাছও তেমন, পাহাড়ও রয়েছে, নদীও বইছে, কিন্তু কাছে গিয়ে দেখ কেবল চোরর্কাট, শেওড়া আর বড়ো-বড়ো নোড়ামুড়ি, কাকর, বালি । তার মধ্যে এখানেওখানে কাদাজল নালা নর্দমা ! কোনোকালে ফেনচুগঞ্জের এক নীলকর সাহেব এখানে এক মস্ত কুঠি বানিয়েছিল। সেই বাংলা ঘরখানা এখনো রয়েছে, কিন্তু মানুষ কেউ নেই। কুঠিবাড়ির বাগানে চোরকাটার সঙ্গে গোটাকতক দোপাটি ফুলের গাছ, ঘরের সমস্ত সার্সি দরজা বন্ধ, জিনিসপত্র যেখানকার সেখানে গোছানো, অথচ কেউ নেই এখানে । দরজায় চাবি দিয়ে বাড়িওয়ালা যেন দুদিনের মধ্যে আসবে বলে গেল, যেখানে সার্সিট ভাঙা ছিল সেখানে কাগজ মেরে ঘরগুলি গুছিয়ে রেখে চোরের ভয়ে তালা বন্ধ করে সব ঠিকঠাক রেখে গেল, কিন্তু কোনো দিন এসে আর চাবি খুলে কেউ ঘরে ঢুকল না । বর্ষ এসে সার্সির ফঁাকে আঁটা পুরোনো খবরের কাগজটা গলিয়ে দিলে, কাকচিরার একটা কাক কোনো সময়ে একদিন ঠোটে করে সেই কাগজখানা ঠেলে ফেলে ঘরের ভিতরে যাবার আসবার একটা পথ করে রেখে দিলে । তারপর একদিন বোশেখ মাসে ডিম পাড়বার সময় দলে-দলে কাক এসে কাকচিরায় চিরকাল যেমন বাসা বেঁধে আসছে তেমনি ঘরকন্না পেতে জায়গাটা দখল করে বসল । সকাল না হতে দূর-দূর গ্রামে তারা চরতে যায়, এটো-কঁাটার সন্ধানে । কিন্তু সন্ধ্যার আগেই দলে-দলে এই আপন রাজত্বে তারা ফিরে আসে, রাঙা আকাশ কালো করে । আমাদের মধ্যে যেমন ডোম চাড়াল তেলি মালি যুগি কায়েত বামুন এমনি নানা জাত, কিন্তু দেখতে চেহারায় মানুষ, তেমনি কাকেদের মধ্যেও দেখতে কাক কিন্তু জাত হরেক রকমের রয়েছে – যেমন ডোমকাক বা যোমকাক, ধাড়িক” ক বা দাড়কাক, ধোড়াকাক, ঝোড়োকাক, চোড়াকাক, পাণিকাক, বা পাতিকাক, শ্বেতকাক বা ছিটেকাক, ভুষোকাক বা ভূযুণ্ডেকাক। সব কাকেরই চালচলন "సెఫె