পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৃথিবীর আদি কাক হল ভূসুণ্ডিকাক, তারি বংশ ভূযুণ্ডে বা ভূযে, দেখতে কালিঝুলি, সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি, এই কাকের বংশ চলে আসছে –এদেরই পূর্বপুরুষ রামের সঙ্গে লড়ায়ে একচোখ হারিয়েছিল, সেই থেকে এদের নাম-ডাক ছড়িয়ে পড়েছে, এমন কী এদের নকল করে অনেক কাক একচোখে৷ সেজে নিজেদের বলাতে চাচ্ছে এদেরই একজন, আসলে হয়তো সে পাতিকাক, কিন্তু লেখবার বেলায় লিখছে পাতি অব ভুযুণ্ডি । এই সব নানা ধরনের কাকেদের মধ্যে যখন যে দলপতি হয় তখন কাক সমাজকে সে নিজের মতো ভালোমন্দ নরম-গরম ভাবে চালায়, এই হল কাক সমাজের নিয়ম । যে কাকটা নীলকর সাহেবের ঘরের সার্সিতে মস্ত ফাকট। আবিষ্কার করেছিল, সে বহুকালের পুরোনো রাজবংশী টোড়াকাক। যতদিন এই টোড়াকাক দলপতি ছিল ততদিন কাক সমাজ ভদ্ররকম ছিল, কোনো পাখিই তাদের কোনো দোষ কোনো খুভ ধরতে পারেনি । কিন্তু কাক সমাজে ক্রমে প্রজাবৃদ্ধি হয়ে নানারকম কাক তাতে এসে যখন সেঁধোল তখন চাল-চোলও ক্রমে বদলাতে আরম্ভ করলে । শেষে একদিন সবাই মিলে টোড়াকাককে সিংহাসন থেকে তাড়িয়ে ডোমকাককে সর্দার করে এমন লুটতরাজ মারামারি আরম্ভ করে দিলে যে, পায়রা, সিকরে, গেরোবাজ এমন কী পেচারা পর্যন্ত অস্থির হয়ে কাকচিরে ছেড়ে পালাতে পথ পেলে না । পুরোনো দলপতি ধোড়াকাক সিংহাসন ছেড়ে মনের ছঃখে ঝোড়োকাকের মতো হয়ে ডানা ঝুলিয়ে চুপচাপ শেওড়াগাছের ডালে দিন কাটায় কেউ তাকে কোনো কথা শুধোয় না, সবাই মিলে বলতে লাগল ওটা বিষ হারিয়ে টেtড়া হয়েছে, বুড়ো হয়ে বুদ্ধি-মুদ্ধি লোপ পেয়েছে। নতুন দলপতি ডোমকাক তামাশা করে তার নাম রাখলে ডরা-কাক, দেশের লোক তাকে বললে টোড়াকাক । একেবারে কাজের বার ভেবে সবাই তাকে তুচ্ছ করছে দেখে টোড়াকাক মনে-মনে একটুখানি হেসে আপনার কোণটিতে চুপচাপ রইল। নতুন রাজা ডোম জাক দেখাবার জন্তে প্রায়ই টোড়াকে "లితి )