পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বটে কিন্তু গণেশ তাতে টলেননি, কেন না এত ইছর বাইরে-বাইরে জন্মাত যে, মানুষ জন্ম-জন্ম মেরেও তাদের বংশ লোপ করতে পারত না। কিন্তু নেংটিরই বড়ো জাত যে চুয়ে, তারা যখন এসে হানা দিয়ে পড়ল, তখন গণেশ ভেবে অস্থির হলেন । এই চুয়োরা একেবারে চোয়াড়, যা-তা খায়, দেবতা-ব্রাহ্মণে ভক্তি মোটেই নেই, একেবারে গোয়ার-গোবিন্দ, দুটি-একটি করে যেন ভালোমানুষের মতো প্রথমে নদী নালার ধারে-ধারে নৌকোর খোলে এসে বাসা বাধলে, দেবতার মন্দিরে কিংবা মানুষের ভাঙা ঘরের উপরে, গ্রাম-নগরের দিকেই ঘেষত না –নেংটি ইছরগুলো যে সব পোড়ো-বাড়ি, পতিত জমি ছেড়ে গেছে সেই জায়গাগুলোয় এসে রইল, নেংটিদের ফেলেদেওয়া যা কিছু কুড়িয়ে খেয়ে বড়ো হতে লাগল। ক্রমে তারা বড়ো হতে-হতে শেষে নেংটিদের মাটির কেল্লাগুলো দখল করে জমিদারী ফাদলে, সেখান থেকে এ জমিদারী সে জমিদারী, এ পরগনা সে পরগনা, এদেশ-সেদেশ, করে সারা দেশ তারা দখল করলে। মাটির নিচেট দখল করে মাটির উপরে চুয়োর দল লড়াই দিতে যখন বার হল, তখন নেংটির বুঝলে দাড়াবার স্থান গেছে, নিরুপায় হয়ে তারা যে ক’টা পারে তাদের পুরোনো নাটবাড়ির কেল্লায় এসে ঢুকে প্রাণ বাঁচাবার চেষ্টা করতে লাগল। নাটবাড়ির দেওয়াল মোটা, কাজেই নেংটিরা কতকটা নির্ভয়ে রইল, কিন্তু চুয়োরাও ছাড়বার পাত্র নয় ; তারা বছরের পর বছর যুদ্ধ চালিয়ে শেষে একদিন নাটবাড়ির উঠোনটা দখল করতে বারোজন তাতারি সওয়ার পাঠিয়ে দিলে। যুদ্ধং দেহি বলে শত্রুদল চারদিক ঘিরে লেজ আপসে লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে, চারদিকে সাজ রে সাজ রব পড়ে গেছে — পায় দল কলবল ভূতল টলমল সাজল দলবল অটল তাতারি। দামিনি তক-তক জামকি থক-ধক \రిeఆ