পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাখিনি। এই দেওয়ানগিরি থেকে বড়োনদীর রাস্তা বেয়ে সোজ৷ উত্তরে গেলে তাসগং, তাউয়াং, ছুটে বড়ো-বড়ো বস্তি, তার পরই চুখাংএর জলা । সেখানে এক রাত্তির কাটিয়ে তার পরদিন সন্ধ্যায় চোন হ্রদ পাওয়া যাবে, তারপর একদিনে নারায়ুম হ্রদ, সেখান থেকে একবেলার পথ, ‘তিগুৎসো’ । সেখান থেকে পশ্চিমে গেলে পেমো চাং, বাসাং সো, চোলু, খাম্বাজং গোসাঁইথান হয়ে ধবলগিরি, আর উত্তর-পুবে গেলে যামদক্ষা নগরের ধারে প্রকাও পালতি হ্রদ, তার পরে ‘তামলং কঙ্কজং হয়ে আবার ব্রহ্মপুত্রের রাস্তায় পড়া যেতে পারে, অনেক পাখিই এই রাস্তা দিয়ে চলেছে, সেথোর অভাব হবে না । তাছাড়া কঙ্কজং-এর রাজা কঙ্ক-পাখির সঙ্গে যখন তোমাদের পরিচয় আগেই হয়ে গেছে, তখন সেখানেও কিছুদিন জিরিয়ে যাওয়া যেতে পারে ।” চকা ঘাড় নেড়ে বললে – ‘সে সব ভালো, কিন্তু ওদিকের আকাশটা যেন কেমন ঘোলাটে ঠেকছে, দেওয়ানগিরির উত্তর গাটাতে মেঘের ছাওয়াটাও দেখতে পাচ্ছি ; হঠাৎ ওদিকে যাওয়া নয়, ফু-একদিন দেখা যাক । হাসদের মধ্যে এই সব পরামর্শ চলেছে এদিকে রিদয় একট। ডোবায় প৷ ডুবিয়ে আড়িমাও রাজার পুরোনো নাটবাড়িটার পাচিলের দিকে চেয়ে রয়েছে, এমন সময় দেখলে সন্ধ্যের আ কারে পাচিলের ধারে রাশ-রাশ নুড়িগুলো যেন নড়তে-চড়তে আরম্ভ করলে, তারপর সার বেঁধে সব মুড়িগুলো কেল্লার দিকে এগোতে লাগল ! রিদয় চেচিয়ে উঠল –‘দেখো-দেখো!” অমনি সব হাস সেদিকে চেয়ে দেখলে দলে-দলে চুয়া রাস্তা ঢেকে চলেছে। রিদয় যখন বড়ে ছিল তখন একবার ইদুরের কামড় কেমন টের পেয়েছে, এখন এই বুড়ো-আংলা অবস্থায় ইহুরের পাল্লায় পড়লে যে কী হবে তাই ভেবে সে কাঠ হয়ে দাড়িয়ে রইল ! হাসেরাও রিদয়ের মতে ইদুরের গন্ধ মোটেই সইতে পারত না, যতক্ষণ সেদিক দিয়ে ইছরগুলো গেল ততক্ষণ সবাই চুপচাপ মুখ বন্ধ করে রইল। \రిeసి