পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গলে দোলে ভীষণ রুদ্রাক্ষ মালা পিঙ্গল নয়নে যেন মহেশের কোপানল জ্বালা । রিদয় দেখলে ঘবের মধ্যে কালো পাহাড়ের প্রকাণ্ড এক মূর্তি, তাতে কতকালের রক্তচন্দনের ছিটে, ভৈরবটির জিব লকলক করছে আর গায়ে সোনা-রুপো হীরে-জহরৎ আর মুণ্ডুমালা ঝুলছে ! ব্রহ্মদৈত্য আরতি আরম্ভ করলেন : রম্-ঝম্ রম্ ঝম্ শব্দ উঠে ভূত প্রেত পিশাচ দাড়ায় সবে জোড় করপুটে। তাধিয়া-তাধিয়া বাজায় তাল তাত থেই-থেই বলে বেতাল ববম-ববম রাজায়ে গাল ডিমি-দিলি সাজে ডমরু ভাল ভবম-ভবম বাজায়ে শিঙা মৃদঙ্গ বাজায় তাধিঙা-ধিঙা ধেই-ধেই নাচে পিশাচ দান । রিদয় হা করে ভূতের কাণ্ড দেখছে এমন সময় পেচ কানের কাছে ফিসফিস করে বললে, ‘এখানে নয়, পাশের কুঠরিতে গণেশ ঠাকুরের সভা। হোমের ধোয়ায় আলোগুলো ক্রমে ঘো ট হয়ে এল ; সেই সময় রিদয় পেচার সঙ্গে আস্তে-আস্তে পাশ কাটিয়ে গণেশ মহালের গলিতে সেঁধোল । দেউড়িতে একটা মোটাপেট হিন্দুস্থানী দরোয়ান সিদ্ধি খেয়ে খালি গায়ে ভেঁ। হয়ে ঢোলক পিটছে, অন্ধকারে রিদয় তাকেই গণেশ ভেবে ঢিপ কবে একটা পেন্নাম দিয়ে হাত জোড় করে দাড়াল । দরোয়ানজী ভারি গলায় বললে, “কোন হোঃ ?’ রিদয় কিছুই বুঝলে না, তবু ঘাড় নেড়ে ললে –‘আজ্ঞে আমি রিদয়, নেংটি ইকুরের বড় বিপুদে পড়েছে তাই – S)〉。