পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রিদয় খুব নরম হয়ে বললে –‘যে ইছরগুলিতে চড়ে মশায় বেড়িয়ে বেড়ান সেগুলির বড়ো বিপদ উপস্থিত।’ গণেশ ভুরু কুঁচকে বললেন –ইস্কুর । আমি তো কোনো দিন ইছরে চড়িনে।" রিদয় বললে –‘আজ্ঞে, ভুলে যাচ্ছেন আপনি, হস্তী-বেশ ধরে যখন হাওয়া খেতে বেরোন, সেই সময় য়ে ইদুর আপনার গাড়ি • গণেশ হোঃ-হো করে হেসে বললেন —“তুমি পাগল নাকি আমাকে মৃদ্ধ গাড়ি টেনে চলতে পারে যে ইছর তাকে তুমি কোথায় দেখলে ? ছেলেবেলায় আমি দু একটা ইছুর পুষেছিলেম কিন্তু সবগুলোর বাচ্চা হয়ে আমার ঘরে এমনি উৎপাত লাগালে যে, সব ক’টাকে আমি ই দুর-কলে ধরে বিদায় করেছি। তুমি ভুল খবর শুনেছ, ই ফুরে আমি চড়িনে, হস্তীবেশেও সঙ সেজে আমি হাওয়া খেত্র মাইনে, নিশ্চয়ই কেউ তোমায় ঠকিয়েছে ? রিদয় অবাক হয়ে বলে –‘সে কী মশায়, ঘরে-ঘরে ইহুরে-চড়া আপনার ছবি, তাছাড়া আমি নিজের চোখে দেখেছি আপনি ঢোল বাজিয়ে ই ছর মাচ করছেন আমাকে শাপ পর্যন্ত দিয়ে এলেন, এখন বলছেন উল্টো, আমাকে ছলনা করছেন ? গণেশ গম্ভীর হয়ে বললেন – বাপু আমি যাই করি, এটুকু জেনো আমি ছলনাও করিনি শাপও দিইনি ! ই ছবিও চড়িনি কোনোদিন, ঢোলও পিটিনি। ওই আমার দরোয়ানগু.লা মাঝেমাঝে হোলিতে দেওয়ালিতে ঢোল পিটিয়ে আমার কান ঝালাপাল৷ করে, ওদের গিয়ে শুধোও। যদি আর কোনো গণেশ থাকেন তো বলতে পারিনে।’ রিদয় চোখ মুছে বললে –‘মশায় যে আমাকে শাপ দিলেন, এখন শাপান্ত না করে দিলে তো আমি মারা যাই ? গণপতি চোখ পাকিয়ে বললেন, —কোনো সাপের ওঝাকে শুধোওগে বলে দেবে, কে তোমায় শাপ দিয়েছে আর কেমন করে শাপান্ত হবে —যাও, আমাকে বিরক্ত কোরো না ? ৩২১ د Rسس:ve{. G