পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টোড়াকাক বলে উঠল –‘বকুক না যত পারে, পাখিগুলো ভাবচে আমরাও ঠাট্টা-তামাশা শিখেছি।” ডোমকাক আর উচ্চবাচ্য করলে না। রিদয় ঘাটিতে-ঘাটিতে সব পাখিকে জানিয়ে দিতে-দিতে চলল—তাকে কাকে ধরেছে ! এমনি বন ছাড়িয়ে তারা একটা নগরের উপরে এসে পড়ল । নদীর ধারে মস্ত শিব-মন্দির, তারি চুড়োয় ত্রিশূলের ডগায় বসে শালিক তার বেীকে শুনিয়ে রাগরাগিণীতে গলা সাধছে ; বে। তার পঞ্চবটির বাসায় ডিমে তা দিচ্ছে আর কর্তার গান শুনছে —‘সা রে গা মা পা –চারটে ডিমে তা, ধা নি স – দুই জোড়া ছ। রিদয় আমনি আকাশ থেকে বলে উঠল –‘কাগে খাবে গ৷ ” শালিক কেও ? বলে মুখ ফেরাতেই রিদয় শুনিয়ে দিলে –‘কাকেধরা যক।’ • যতই দক্ষিণ দিকে এরা এগোতে থাকল ততই বড়ো-বডো নদী খাল-বিল ক্ষেত মাঠ-ঘাট গ্রাম-নগর দেখা দিতে থাকল। একটা মস্ত বিলের ধারে একটা হাস আর একটা হাসের সামনে দাড়িয়ে কেবলি ঘাড় নাড়ছে আর বলছে, ‘চেয়ে দেখ, আমি তোরি চিরদিন আমি তোরি ? রিদয়ের মনে হল যেন খোড়া আর বালি দুজনে কথা কইছে ; সে অমনি তাদের শুনিয়ে বলে উঠল –‘এস দিন রহে থাড়ি রহে থোড়ি ? ‘কেও —কেও ?’ বলে হাস মুখ ফেরাতেই রিদয় শুনিয়ে দিলে – ‘কাকে-ধরা যক্‌ ? অমনি যাকে দেখে, তাকেই নিজের খবর শুনিয়ে দিতে-দিতে রিদয় চলেছে ! বেলা দুপুর, কাকের ঝাক এক মঠের জমিতে নেবে সড়া পেসাদ খেতে আরম্ভ করলে। রিদয় খেলে কিনা সে দিকে কারু লক্ষ্য নেই । ডোমকাক রিদয়কে আগলে বসে আছে, এমন সময় ঢে fছুকাক একটা ডালিম এনে ডোমকাককে বললে –“মহারাজ দুটো ফল খেতে আজ্ঞে হোক! ডালিম ভাঙা কাকের কর্ম নয়, তা ঢোড়াকাক H8ණු