পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানত –ডোম-রাজা নাক তুলে বললে –‘ওই শুকনো ফল আমি খাব, থুঃ টোড়া অমনি সেটা রিদয়ের পায়ের কাছে ফেলে তাড়াতাড়ি রাজার জন্যে যেন ভালো ফল আনতেই যাচ্ছে এইভাবে ছুটে পালাল। রিদয় বুঝলে টোড়া তার জন্যেই ডালিমটা এনেছে ; সে অমনি সেটা দাতে চিবিয়ে ছালমৃদ্ধ খেয়ে ফেললে । ভাত খেয়ে ডোমরাজ মঠের চুড়োর উপরেতে গেলেন, অন্য সব কাক খেয়ে-দেয়ে পেট ভরিয়ে রিদয়কে ঘিরে গান গল্প শুরু করলে । পাতিকাক দাড়কাককে শুধোলেন –‘দাদা চুপচাপ ভাবছ কী শুনি ? দাড়কাক গলা খাকনি দিয়ে বললে –‘ভাবছিলেম এই তল্লাটে এক মিয়া সাহেব একটি মুরগি পুষেছিল, মুরগি ঐ মোছলমানের বিবিকে এতো ভালোবাসত যে তাকে খাওয়াবার জন্তে লুকিয়ে বিবির পানের ডাবরে গিয়ে চারটে করে ডিম পেড়ে আসত। মিয়া ডিম খুজে-খুজে হয়রান, তখন কিন্তু আমাদের মধ্যে কে একটা চালাক কাক সেই লুকানো ডিম খুজে বার করেছিল, না ? তার নামটা কী মনে পড়ছে না। সে কি তুমি না আমি, না ওই ডোম না এই ঝোডোকাক ? পাতিকাক বলে উঠল –‘ওঃ ! বুঝেছি, আচ্ছা শোনো দেখি বলি, বোষ্টম-বাড়ির .সেই কালো বেড়ালটাকে মনে আছে তো ? সেই যেটা বোষ্টম বোয়ের হেঁসেলের মাছ রোজ নিয়ে পালাত, কোথায় সে লুকিয়ে মাছটা রাখত তা বোষ্টম না বোষ্টমী না কালে কেউ টের পেত না, সেই মাছের সন্ধান কে-কে পেয়েছিল দাদা, তুমি না আমি, রাজা না মন্ত্রী ? সব কাক আমনি এগিয়ে এসে নিজের-নিজের বড়াই করতে আরম্ভ করলে। কেউ বললে –‘মাছ চুরি আবার একটা কাজের মধ্যে, আমি একবার একটা খরগোসের লেজ ঠুকরে দিয়েছিলাম ; আর একটু হলেই সেটাকে নিয়ে চিলের মতো ছে দিয়ে উড়েছি আর কণী, এমন সময় সেটা তার গর্তে সেধিয়ে গেল ! আর এক কাক বলে উঠল –‘আরে বাবা খরগোসছানা や8br