পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহেতর এমনি সব নানা কথা বলতে লাগল। কুঁকড়ে একটু দূরে দাড়িয়ে হাসিমুখে এই ব্যাপার দেখছিলেন। কী সুন্দর দেখাচ্ছে সোনালিয়াকে। তার চলন বলন সবই বেশ কেমন একটু ভদর রকমের। গোলাবাড়ির কোনো মুরগিই এমন নয়। চিনে-মুরগিরও সোনালি বউ করবার সাধ একটু যে না হয়েছিল তা নয় ; সে দৌড়ল । কুঁকড়ে এইবার তার সব মুরগিদের ঘরে যেতে হুকুম দিলেন। কুঁকড়ে বললেন, ওদেব সব সকাল সকাল ঘুমনো অভ্যেস। মুরগির একটু বিরক্ত হয়ে সব শুতে চলল মই বেয়ে নিজের, নিজের খোপে । সোনালিয়া শুধলে, কোথায় যাচ্ছ ভাই । এক মুরগি বললে, বাড়ি চলেছি। এই যে আমাদের ঘরে যাবার সিড়ি ।” মই বেয়ে মুরগিদের উঠতে দেখে সোনালিয়া অবাক হয়ে গেল । বনের মধ্যে তো এ-সব কিছুই নেই। চিনে-মুরগি সোনালিয়ার সঙ্গে খুব আলাপ জমিয়ে বন্ধুত্ব করবার চেষ্টায় আছেন, সোনালিয়া তাকে বললে যে, এখনি তাকে আবার বনে ফিরে যেতে হবে, গোলাবাড়িতে সে কেবল ছদখের জন্যে এসেছে বৈ তো নয়। ঠিক সেই সময় দূরে ছম করে আবার বন্দুকের আওয়াজ হল । এখনো শিকারীগুলো বন ছেড়ে যায় নি, কাজেই সোনালিকে কিছুতেই বনে একলা পাঠাতে কুঁকড়োর একটু ইচ্ছে নেই। গোলাবাড়ির সবাই তাকে আজকের রাতট। কোনোরকমে সেখানে কাটাতে অনুরোধ করতে লাগল। জিন্ম নিজের বাক্সট রাতের মতো সোনালিকে ছেড়ে দিয়ে বাইরে শুতে রাজি হল। বন্ধ ঘরের মধ্যে সোনালি কোনোদিন শোয় নি; কিন্তু কী করে। প্রাণের দায়ে তাতেই সে রাজি হল । চিনে-মুরগির আহ্নাদ আর ধরে না, সে সোনালিকে তার সকালের মজলিসে যাবার জন্যে আবার ধর ఫిఫి