পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুেলল বটে, এলল না। লাফিয়ে হল পগার পার, মাড়িয়ে চলল ঝোপ-ঝাড়। পিছন বাগে তার খড়ম পায়ের খটখট চলার শব্দের তথাপি নেই ক্ষমা । কোথা থেকে আসে শব্দটা, মাটি থেকে, না আকাশ থেকে, না আশপাশ থেকে কে বা দিচ্ছে, কিসের বা শব্দ ওটা । না গাড়ি চলার, না গরু চলার, না ঘোড়া ছোটার, ভাট গড়াবার, নামও নাই থামবার । শব্দটার কিনারা করে কে মাঠের মধ্যে, এ রাতেতে সাধ্য আছে কার ? ভূতের তাড়ায় বহুদূর ছুটে জেরবার, চকিতে ফিরে দেখল একবার । পা চলল না আর –ঘোষের পে দাড়িয়ে গেল থ’। মুখে নাই রা–এ যে পা পেয়ে দৌড়েছে দাদাশ্বশুরের দাড়া-ঘড়িট বিদঘুটে । সেই সময় চাদের আলো বারাল মেঘ ফুটে । দাদাশ্বশুরের ঘড়ি দেখালে গোলাকার মুখটার ডৌল । চাদমুখটি যেন তার খিটখিটে বেী-র । গুলবাহারি শাড়ির ঘোমটা – হুটো কালো চোখ পুট-পুটে । বস আর দেখা নয় —ঘোষের তনয় দে দৌড় যারে কয় নিজ বাড়ির মুখে। ঘরে ঢুকে কি শুনছে টিং-টিং টিং-টিং-টিং —দাদাশ্বশুরের ঘড়ি বলছে —হয় হয় দিন –বাজছে পাচটা, চেয়ে দেখ দেখিন – গোলে যাও ছুটে –টিং-টিং-টিং । ভৈরব দেয়ান খায় প্রতিদিন হিঞ্চের রস এক কাচ্চ কাচ ছধে, জানতে সক্কালে উঠে ! ©ዓ●