পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মঠের কাজে ভর্তি করলেন আদ্যনাথে দেয়ান, তার মা ছিল তার বেয়ান। আদ্যনাথের মাছের মতো নিপলক গোল ফুটে চক্ষু, বালকট যেন একটা তরক্ষু, বুদ্ধি সুন্ধু, অথচ দেখে মনে হয় একেবারেই নয় সেয়ান। শু্যামাচরণের সাথে ঘটি গামছা হাতে কোমরে জড়িয়ে পৈতা খান। অটব্য অরণ্য এদো-পুকুর, ভাঙা ঘাট, তিনি ফুকুরে দালানে মুক্ত-কেশী দেবীর পাট, তারি উত্তরে সাধন কুটিরে স্থান পেলেন শু্যামাচরণের চেলা বাবা আদ্যনাথ ! গুরুর কাছে নিয়ে দীক্ষামন্ত্র, শিক্ষা করেন চেলা নানা তন্ত্র পূজাপাঠ। কারণ করা তান্ত্রিক মতে, পাঠার মুড়োটা আসট। করে চাট । পরিপক্ক হতে দেরী করলে না মঠাধ্যক্ষের কাজে ভটচায, শু্যামাচরণের চেলা আদ্যনাথ । ইতিমধ্যে এক রাতে, মঠের সৈণ্ঠব হয় যাতে, চেলার সাথে যুক্তি করেন চিরবাধ্য শু্যামাচরণ। —করে দেখলে হয় না কুবরী মন্ত্রে কুবের সাধন ? আদ্যনাথ গুরুরে কন । গুরু বললেন, কথাটা ঠিক, কিন্তু নকুল কুলার্ণবে লিখছে শক্তি বিনা এ সাধনের ফল অনিশ্চিত । আদ্যনাথ বললেন, বুদ্ধি শক্তি তো আছে —অন্য শক্তির কিং প্রয়োজন । 演 তিন আঙুলে নকুলেশ্বর মুদ্রা দেখিয়ে জানিয়ে দিলেন চেলাকে শু্যামাচরণ –ক্লীং মন্তর জপের কালে সোনার একটি সজীব প্রমাণ নেউলের আছে প্রয়োজন —সেটা মেলাই শক্ত বাপধন ! আদ্যনাথের নিপলক ভাট চোখে জেগে-জেগে পড়লো যতি সেই প্রথম সেই দিন রাত তিনটাতে। বেজির আওয়াজে ঘুম ভেঙে দেখে পুকুর ঘাটে পড়ে আছেন সর্ব অঙ্গ হিম, তিন আঙুলে নকুল মুদ্রা – ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র চিরবাধ্য মুক্তকেশীর মঠাধ্যক্ষ শু্যামাচরণ । বেয়ানের মুখে ভৈরব দেয়ান শুনলেন শু্যামাচরণের হয়েছে তিরোভাব! গোপ মুচড়ে দেয়ান বললেন, যাক চুকল ৬৭২