পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎপাত। এখন যা করেন অস্তিনাথ –বলেই দেয়ান নস্য নিলেন একটিপ । তদারকে গেলেন পেশকার —দেবতার সম্পত্তি যেখানকার যা রেখে গেছেন কিনা ভূতপূর্ব শু্যামাচরণ। পেশকার দেখে এলেন সব আছে কেবল নাই পুজারীর সেরাচীন বাঘাসন। কুস্তি বুড়ি নিযুক্ত হল সেই দিন থেকে মঠ-বাড়ির খোস্ত খুন্তি ইত্যাদি করতে মার্জন । আশ্বিন গেল্প, পড়তে কার্তিক, ঝাজ শেওলা সি তুর গোলা যেন দেখাচ্ছে ঠিক। ঘাটে বসে কুন্তি বুড়ি পিতলের খুন্তি হাতী কসে মাজছে, ঘসে ঝামা ইট। হেন কালে ঘাটের রাণা হতে কুড়ি হাত অন্তরে পড়ল বুড়ির নজরে, ভূস করে উঠল, ঝুপ করে ডুবল, মা বলে দিয়ে ডাক, ড্যাব-ড্যাবে চোখ বোয়াল মাছ। এমনি একবার নয় তিনবার । ঠেলে শেওলা ঝাজ, মা গো মা, বলে দিয়ে আবাজ মাছ উঠল আর ডুবল আকাশে তুলে লেজের দিক । পুকুর ঘাটের খবর যেমন হয়ে থাকে বরাবর, হাওয়াতে পৌছল বাজারে হাটে। পাটরানী শুনলেন কুন্তির মার কাছে। রাজা শুনলেন রানীর মারফতে –পুটেরানীর পুকুরে পুটিমাছ মা মা বলে শু্যামা বিষয় গাইচে বসে ঘাটে । পেশকার বললেন, দেওয়ানজী, শুনেছেন কী ব্যাপার , রানীর পুকুরে জলহস্তী একটা শু্যামা সঙ্গীত শোনাতে আদেশ পেয়ে গেছে শু্যামা-মার । হুম, বলে গোফ মোচড়ালেন ভৈরব দেয়ান দু-চারবার, জবাব দিলেন না কোনোপ্রকার । পাটরানীর হুকুম হল যখন ভাঙাঘাট সারিয়ে শ্বেত পাথর লাগাতে, দেয়ান বুঝলেন আদ্যনাথ মঠবাড়ির সৈষ্টবের . কাজ নিয়েছেন হাতে । কুস্তির মা শুধায় আদ্যনাথকে, হ্যা বাবা, কুস্তি তো কানে কাল, কেমন করে শুনলে, মা বলছে মাছে ? @as)