পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাটালিখান কোমরে গুজি। লণ্ঠনটা নেবার পেল না সময়, ঘাম দিচ্ছে গা-ময়। বুড়ে উঠে চলল খোয়াব-গা'র চাল-চুলো ওড়া পাচতাল চিলে কোঠার দিকে, ‘চলে এসো জানায়ে ইঙ্গিতে। মুচি চলল, কলের পুতুল যেন উঠি, পড়ল কিনা পড়ল তার পা-ধাপ ধ্বস টালি ভাঙা ঘুরোনো সিঁড়িতে –ৰ্চাদনীতে তখন মিট-মিট পিছমের অধিক আলো নয়। । পেচা না করে চেচামেচি ঘোঁচি-কড়ির মতো একটা চোখ মটকালে বসে পাচতলার র্দাত পড়া ফাট দেয়ালে , মুচির মনে হল, আনলে হত ভালো একটা লন্ঠন, সিড়ি ভেঙে কোমরটাও করছে টনটন, বুড়া ঠিক চলেছে তখনো এগিয়ে হনহন। পেরিয়ে ছাতের পর ছাত, ওঠাল নামাল সিড়ির ধাপ, আলিগলি, ভাঙা দোর ঘুলঘুলি, ঢুকেই একটা গোল ঘরে হাওয়ার পরে ধুমার মতো পাক খেয়ে ফিরে দাড়াল বুড়ে । মুচি দেখলে সামনে পড়ে খটাশে চাম ঘরখান জুড়ে যেন সতরঞ্চ একখানা। ইঙ্গিতে বুড়ো জানান দিলে, কাটো চাম রাতারাতি ! বাটালি চালাতে বসে গেল মুচি কসে মুঠিয়ে ধরে কাঠের ডাটি। চামের পরে চোপ বসাতেই, ওপ বলে যেন তোপে উড়ে গেল বুড়ো ঝুলের মতো। যেন মাকড়সার জালে আটকানো রইল তার কাপড়-চোপড়গুলো । ঠিক সেই কালে কানাচের আড়ালে খুন-খুন বলছে, কানে শুনল মুচি –চক্ষু বুজি লেপ মুড়ি দিয়ে শুল । সকালে পোষ মুলো বেড়াল মে ও মে ও শব্দে তারে জাগালে । মুচি উঠে দেখে নিজের যন্তর-পাতি রাখা চামের বড়ো থলিটাকে বাটালি চালিয়ে খালাষি-জুতোর আকারে কেটে রেখেছে খটাশের চামড়ার খোয়াবে খেয়ালে । ভাবে, তখন রাজার মুচি খালাষি-চটির গোড়ালি বাধাবো কী গাধার নালে । \రిళ్ళలి