পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাদোশা বেলের সরবতের সঙ্গে হজম করবে। আমি বসে ভাবব, এই বুঝি আনে রাধু চিজ, টোষ্ট, অম্‌লেট চা-কে কোথা ! হবে সন্ধিপূজা সমাপন, গোধুলিতে গোষ্ঠে যাবে কৃষ্ণের গোধন, ঠাকুরের ঘরে শঙ্খ ঘণ্টা বাজিয়ে দেবে দাস গোবৰ্দ্ধন। বাদশা ছাড়বেন গ্রামোফোন, রাধু কাট্‌লেট্‌ ভাজছে যখন, খট করে পড়বে ঠাকুর ঘরের তালা, এসে পড়বে পেলেট ধোয়ার পাল৷ হবে খানার টেবিলে ডিনারের আয়োজন, আমার কী হবে তখন ? বাদোশাবাবু বলে উঠলেন —“তুমি-খাব, খাব পুডিং খাব বলে চ্যাচাবে, আমি গিয়ে তালা খুলে দেব ? —‘পারবে না বাদোশাবাবু। ঠাকুর ঘরে ভূত ঢুকেছে বলে তুমি, লেপ মুড়ি দেবে ; দাসী চাকরবাকর উচ্ছেলালকে ডাকতে ছুটবে, সে লণ্ঠন হাতে লাঠি ঠকঠকাতে এদিক ওদিক ঘুরে—‘কোই নেহি হ্যায়ী —বলে দেউড়িতে গিয়ে খাটিয়া নেবে সে রাতের মত ; সাত ডাকে আর সাড়াও দেবে না । —“তখন কী করবে তুমি ? —‘করব কি সেই তো কথা বাদোশাবাবু! —‘রোসো ভাবি, আমিও ভাবি তুমিও ভাব!’ ‘কেন হনুমানকে স্মরণ করবে ? —“সে তো আসবে না, আমার নাম যদি রাম হ’ত তবে আসত!’ —‘কলা দেখালেই আসবে ? —‘মুষ্টিবদ্ধ হাত, কলা দেখাই কেমন করে ? আঙ্গুল নড়বে না যে ' \రిఫిలి