পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চড়াই বললে, “শুনছিলেম বটে একটা ঘোট চলেছে।' বুটজুটে. অন্ধকারে সব ঘুটেগুলো এমন কাপতে লাগল যে রাত্রিটা হলছে বোধ হল। কুঁকড়ে বললেন, ‘বটে, ঘোট চলেছে ? চড়াই বললে, ‘হঁ তোমার সর্বনাশের, সাবধান ’ বয়ে গেল।” বলে কুঁকড়ে আবার গিয়ে ঘরে ঢুকলেন । { চড়াই আবার ভালোমানুষটির মতো গা-ঝাড়া দিয়ে বসল। সে ঠিক-ঠিক কথাই বলেছে কিন্তু কেমন হদিক বাচিয়ে বলেছে। যুধিষ্ঠিরের অশ্বথামা-হত-ইতি-গজ গোছের। কথাটা চড়াইয়ের মুখে শুনে কিন্তু পেচাদের সন্দেহ বাড়ল । চড়াই সত্যিই তাদের দলে কি না। —শুধতে অন্ধকারের মধ্যে একটার পর একটা চোখ চড়াইয়ের দিকে চাইতে লাগল। চড়াই বললে, “আমি বাপু কোনো দলে নেই ; তবে ঘোটটা কেমন চলে দেখতে ইচ্ছে আছে।” পেচাতে চড়াই খায় না, কাজেই ঘোটে গেলে কোনো বিপদ তার নেই বলে পেচার চড়াইকে মন্ত্রণাসভায় যাবার স্থানটি বাড়লে দিয়ে বললে, চোরের মন পুই-অঁাদাড়ে, এই শোলোক বললেই সে দরজা খোলা পাবে ।” এ দিকে ঘরের মধ্যে থেকে সোনালিয়ার হাপ ধরছিল ; সে একটু ভালো হাওয়া পেতে ঘর থেকে মুখ ৰূ করেই সব নিশাচরকে দেখে একী ? বলে চমকে উঠল। অমনি সব চোখ একসঙ্গে ঝপ করে বন্ধ হয়ে গেল। অনেকক্ষণ আর সাড়া-শব্দ নেই। তখন অন্ধকারে একটির পর একটি চোখ খুলল আর বলাবলি শুরু হল। সোনালিয়া চুপ করে শুনছে কে একজন উঠোনের ও-কোণ থেকে বললে, “বেঁচে থাকে। পেচা-পেচিরা ’ পেচার। শুধলে, “আমরা তো নামটি পর্যন্ত সইতে পারি নে তা জানো, কিন্তু তোমরা তার উপর চট কেন বঙ্গা তো ।” * দিনের বেলায় যারা তুষ্টবুদ্ধি লুকিয়ে বেড়ায়, রাত্রে তাদের পেটের কথাটা আপনিই ৰেন প্রকাশ হয়ে পড়ে । বেড়াল খুব চাপ।

  • ්ල

دست سع