পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দ দিলে মটাৎ—পিড়ির কাঠ । ‘দেহটা ভারি’ বলে ভোলানাথ মস্তর পড়িয়ে চললনে—খুলে পুথির পাত, —“কি মন্তর ? ‘অড়র বড়র—অসিত দেবল ! কাশ্যপ শাণ্ডিল্য’— তুমি মন্তর বললে ? : —‘সমস্কৃত বুঝলে তো বলব ! আমি কেবল দে দে বলে হাত পাভলেম ।’ —‘কী করলে পুরুৎ ? সে এক কাও অদ্ভূত ; আমার বা হাতে একটা সোনার আংটি পরিয়ে ডান হাতে গোটাকতক পান সুপুরি দিয়ে আর একটা পিড়ের উপরে আর একটা লাল চেলীর পুটুলি থেকে একখানু! মোমের মত নরম গয়নাপরা হাত টেনে বার করে আমার হাতে লাল-সুতো দিয়ে বেঁধে ফেললে |’ —“তারপর ? —“তারপর বল্লে উঠে পড়, যাও বাটির মধ্যে ’ বাটির মধ্যে ঢুকব কী-আমি উঠলেম, সঙ্গে সঙ্গে সামনের চেলীর পোটলাটিও উঠল—স্থখানা রাঙা টুকটুকে আলতায় জোবড়ান পা ঝমর ঝমর শবদ করছে ।” —“তারপর ? —‘বাটির মধ্যে ঢুকি কেমন করে ভেবে খিদে বেড়ে গেল। যা কপালে আছে বলে চললেম চক্ষু বুজে । —“তারপর কী হল ? —‘হবে আবার কী ! কলকাতায় ঠাকুরদাদায় ঠানদিদিতে শুভদিষ্টি-লাল কাপড় ঢাকা দিয়ে ? -‘সে আবার কী ? শুভদিষ্টি ? —‘আরে সে যার হয়েছে সেই জানে। তোমার যখন হবে তুমিও জানবে । সে কথা বলতে বারণ আছে 4’ ఉ>br