পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—‘কী আর করব । রুল টানা খাতার পাতা তো নয়, যেন ইছর কলের শিক পরান দরজা ? • প্রথম পাতায় ‘দী র্যাম’ ভর্তি করতে, আর ‘দী র্যাম’ কটা পড়ল খাচাকলে গুনতে ষষ্ঠির সকাল কাটল । দ্বিতীয় পাতা লিখব, গেছি ভুলে দী র্যাম’ মানে। দী র্যাম মানে আর কিছুতে মনে পড়ে না —‘দী র্যাম মানে কী লিখি ! মানের পাত খালি রেখে যাই’ বলে এক হাক দিয়ে মরিয়া হয়ে দৌড় —বই সেলেট খাতা ফেলে। এমনি রোজই হয়, ‘দী র্যাম’ পর্যন্ত এগিয়ে মানেতে গিয়ে ঠেকি । হাই তুলছ যে বাদোশাবাবু, ভালো লাগছে না গল্প ? —“লা-গ-চে বলে যাও ।” —ঐ খাত লিখতে লিখতে কোনো দিন ঘুম পায়, কোনো দিন মানে ভেবে ঘুম হয় না রাতে। পাছে হঠাৎ ছুটি ফুরিয়ে যায় মাষ্টার এসে পড়ে —এই ভাবনায় ছুটোছুটি করতে পারিনে ভালো করে, ক্ষিদেও হয়না তুধের বাটি ভর্তিই থাকে পড়ে রাতের বেলায়। এই অবস্থায় একদিন ছিরে মেথরের শরণ নিলুম। —‘দী র্যামের’ মানে বাংলায় বলত দেখি, কেমন পার ? —‘কেন ছাগলীর মায়ের ভর্তা ? —বস আর পায় কে ! পাতাজোড়া গোটা গোটা 'দী র্যাম’ আর ছাগলীর মায়ের ভর্তাতে খাচা কল ভর্তি করে ইপি ছেড়ে বাচলেন ভাই তোমার দাদামশায়।’ —“তারপর ? —‘দিন দিন মোটাতে থাকলেম, দুধের ক্ষিধে বেড়ে গেল। রামলাল থেকে থেকে ভয় দেখায়— ‘খাত লিখছ না বলে দেব।’ —‘দিও বলে, আমি খাতা লিখে শেষ করে দিয়েছি—দেখে नांe !' ‘এক পাতায় একশোটা করে লেখা দরকার, এ যে একটাতেই পাতা ভর্ত্তি করে রেখেছ । এ খাতা চলবেন, আমি আবার খাত। श्रांनद ' 8 ebr