পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকালে বিশ্বেশ্বর এমন ভেলস চালালে যে খালি কুয়াশাখাচ্ছি। —ও বিশ্বেশ্বর এ যে বিষম নরম । কি করি বলেন, তামাকের বাজার বড়ো গরম হয়েছে, আবগারি টেকসে চেপেছে, বিশ্বাস না হয় ছোটেলালকে শুধতে পার, সে কাল তামাকের পাতা কিনেছে। মহাকাল কাটল এইভাবে । পুজোর বাজারে সেবার নতুন উঠেছে ‘পম্পৰ্কীস্থ । পার্বনীর টাকা-কটা তাতেই আটকে ফেললেম । একখানা চিরকুট কাগজে গোল করে একটা খোলামকুচি জুড়ে যষ্টির দিনে বিশ্বেশ্বরের হাতে গুজে দিয়ে বললেম, চটপট দাও এক ছিলুম। . খেয়ে পুজোবাড়ি ঘুরে আসি। বাবা । আঙ্গুলের টিপে চিনতো বিশ্বেশ্বর কোন তামাকের কি টিকের কত দর ! কোনো কথা না বলে বাধা-হুকোয় কল কি চাপিয়ে হাতে তুলে দিলে ; টান দিই খালি হাওয়া আর একটু কাগজ-পোড়া গন্ধ। বৈঠকের পরে ইকোটি নামিয়ে রেখে নতুন পম্পম্বুজোড়া কোচায় বেশ । করে মুছে উঠে পড়লেম, বিশ্বেশ্বর একবার আড় চক্ষে দেখে নিলে জুতোটার দিকে। এই পর্যন্ত হয়ে রইল ষষ্টির দিনে । কদিন এবাড়ি ওবাড়ি পান তামাক খেয়ে কাটালেম । বিজয়ার সন্ধেবেলা –বিশ্বেশ্বর তেগে আছে কখন যোগেশ মামাকে প্রণাম করতে যাই । ফাকতালে আমিও সট করে ঢুকেছি দেওয়ানখানায়। বুড়াকে প্রণাম করে কোলাকুলি সেরে মিষ্টিমুখ করে চুকেছি, কোথা ছিল বিশ্বেশ্বর, ছকে কলকি আর ফর্দ হাতে হাজির। ফর্দখানা যোগেশ মামার দিকে আর ছকোটা আমার দিকে বাড়িয়ে দাড়াল । আমিতে অধোবদন। মামা ফর্দ দেখে বললেন, কি বাবাজী—ধর হয়েছে দেখছি। ফর্দে কছিলুমের বরাদ্দ ধরব বলে ফেল, লজ্জা কী। —যাই । দাদা ডাকছেন বলেই তো আমি চম্পট। হে হো হাসির মধ্যে সেদিনটাওঁ চুকল— 883